বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান" -এর হাতে গড়া সংগঠন, গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৬ বছরে পদার্পণ করলো বাংলাদেশ_ছাত্রলীগ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আনন্দর‌্যালি ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে উৎযাপন করে দিনটি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) 

শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব সোপান এর নেতৃত্বে আনন্দর‌্যালি ও শোভাযাত্রা করে সংগঠনটি। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং কেক কাঁটার মাধ্যমে দিনটির উদযাপনের সূচনা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। উৎযাপনে আরো উপস্থিত ছিলেন সদ্য সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি খালিদ মাসুদ রনি,ইখলাস উদ্দিন শুভরাজ,সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাফায়েত হোসেন, সদ্য সাবেক উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক শাহতাপ হোসেন প্রদীপ,ছাত্রনেতা জনি সরদার,সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি ইফতেখার ফয়েজ অভি সহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।



১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এর নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। 



প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অধিকার সংক্রান্ত আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলন। প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়কের ভূমিকা পালন করেন নাঈমউদ্দিন আহমেদ এবং পরবর্তীতে সাংগঠনিকভাবে এর সভাপতি মনোনীত হন দবিরুল ইসলাম। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন খালেক নেওয়াজ খান।


১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর সর্বপ্রথম মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছিল। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন, যাতে ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর ভ্যানগার্ড ছিল। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল।


শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি দিয়েছিলেন, যা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন বেগমান হয়। তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।


১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৬৯ সালে বাংলার ছাত্রসমাজ সারাদেশে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলে, যা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বাংলার ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেন, যা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিকে ত্বরান্বিত করে।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024