এই বিশ্ব সংসার তো ভগবানের সৃষ্টি। তিনি তো সকলের মঙ্গলের চিন্তা করেন, তবে তাঁর সংসারে কেউ চোর, কেউ সাধু, কেউ ধনী, কেউ গরিব এর কারণ কি হতে পারে?

ভগবান আমাদের দিয়েছেন স্বতন্ত্র ইচ্ছা শক্তি। সেই ইচ্ছাশক্তি অনুসারে আমরা কর্ম করছি। আর সেই কর্মের ফলে সুখ অথবা দুঃখ ভোগ করছি। স্বতন্ত্র ইচ্ছাশক্তির সদ্ব্যবহার করে আমরা সুন্দর হতে পারি, আবার অইচ্ছায় বদ্‌চরিত্র হতে পারি। বিশ্ব সংসারে স্থিত জীব তার নিজ নিজ ইচ্ছা অনুসারে কর্ম করছে এবং তার ভাল বা মন্দ ফল ভোগ করছে।

বাধ্য করে যেমন ভালবাসা হয় না, মনের ইচ্ছা থেকেই লোকে ভালবাসে, তেমনই ভগবান সবাইকেই সঠিক পথে পরিচালিত করতে থাকলে স্বতন্ত্র ইচ্ছার মূল্যও থাকে না। তখন কর্মের মূল্য মর্যাদা বা মাহাত্ম্য বলে কিছু থাকত না। যেমন আলো ও অন্ধকার আছে বলেই আলোর মহিমা ও অন্ধকারের দুঃখ উপলব্ধ হচ্ছে। বৈচিত্র্যময় কর্ম ও কর্মফল যদি না থাকত তবে তো লোকে কর্ম করা থেকে বিরত হয়ে বসে থাকত, অথবা একটা নিছক যন্ত্রের মতো ভগবানের নির্দেশে চলত। কিন্তু নিছক যন্ত্রের মতো কর্ম করাটা আধুনিরুদ্ধ। তাই, হয় ভাল কিছু করে ভাল ফল পেতে হবে, নতুবা মন্দ কিছু করে মন্দ ফল পেতে হবে। এই বৈচিত্র্যের মধ্যেই প্রকৃত সুখের সন্ধান করতে হবে।

লেখক : প্রণব মন্ডল, কবি এবং কলামিস্ট।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024