লাখাইয়ে ঝিয়ের কাজ করে  সংসার চলে ভূমিহীন,গৃহহীন বিধবা আলিমার। 

লাখাইয়ে উপজেলার ৫ নম্বর করাব ইউনিয়নের সিংহগ্রাম এর ভূমিহীন, গৃহহীন বিধবা আলিমা  খাতুন এর সংসার চলে বাড়ী বাড়ি গিয়ে  ঠিকা ঝিয়ের কাজ করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় হতদরিদ্র আলিমা খাতুন এর স্বামী ছুরই মিয়া বছর পাঁচেক আগেই গত হয়েছেন।

স্বামী ছুরই মিয়ার ভিটে বাড়ী ছাড়া জমিজমা তেমন কিছু  ছিলনা বললেই চলে।১ ছেলে   ২ মেয়ে নিয়ে ৫ সদস্যদের সংসার কোন রকমে কষ্টে দিনাতিপাত করতে হতো।এরই মধ্যে ২ মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছুরই মিয়ার  বয়স হওয়ায় আয় রোজগার  করতে না পারায় অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে হতো। এঅবস্থায় বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগে চিকিৎসার খরচ মেটাতে  জমিজমা যা ছিল তাও বিক্রি করতে হয়।

বিগত বছর পাঁচেক  আগে ছুরই মিয়া মারা গেলে স্ত্রী আলিমা  খাতুন তাঁর  ১০/১১ বছরের ছেলে নিয়ে     জীবন নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে ঠিকা ঝিয়ের কাজ করে  ও মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলে বাবুর্চির সাথে মসলাগুঁড়া করাসহ অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করে থাকে। এভাবেই যখন যে কাজ পায় তা করে থাকে। এ থেকে যা পায় তা দিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছে। ।ভিটেমাটি না থাকায় অন্যের বাড়িতে অস্থায়ীভাবে বসবাস করেছে।আবার কখনো কখনো মেয়েদের বাড়িতেও থাকেন।কিন্তু সেখানেও বেশি দিন থাকা সম্ভব হয় না তখন আবার গ্রামের কারোও না কারো বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

পঞ্চাশোর্ধ আলিমা খাতুন এর সাথে আলাপকালে জানান  আমি খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছি।আমার ছেলেটাও ছোট। কোন আয়রোজগার করতে পারে না।তাই আমাকেই সংসার চালাতে হচ্ছে। আর যা আয় হয়  তাতেও কুলোয়না। আমার এ অভাবের সংসারে অদ্যাবধি কোন সরকারি সহযোগিতা বা ভাতার সুবিধা পাইনি।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট বহুদিন যাবত আবেদন নিবেদন করে আশারবানী ও প্রতিশ্রুতি ভিন্ন কিছুই মেলেনি ।

 শুনেছি বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বিনামূল্যে  ঘর বরাদ্দ  দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আমার ভাগ্যে তাও জুটেনি। আমার শেষ ইচ্ছা যদি আমাকে সরকারের পক্ষ থেকে যে কোন জায়গায় একখানা ঘর বরাদ্দ দেওয়া হতো তবে আমি মরেও শান্তি পেতাম।অন্তত নিজের ঘরে বসবাস করে মরতে পারতাম এবং আমার এতিম ছেলেটারও একটা গতি হতো।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউ,এন,ও) নাহিদা সুলতানা এর সাথে আলাপকালে জানান  বিধবা আলিমা খাতুন গৃহ বরাদ্দ পাওয়ার আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024