|
Date: 2024-01-14 11:39:06 |
ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে যশোরের বিভিন্ন এলাকার মতো অভয়নগরের আশপাশ এলাকার জনজীবন বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে। গত দু’ তিন দিনে ফলে শহর ও গ্রাম-গঞ্জের জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে।
শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে, বেড়েছে জনদুর্ভোগ। বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছেন। কনকনে শীতে জবুথবু এ জনপদ। রোববার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে যশোরসহ আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সূর্য উকি দেয় যশোরে। এরআগ পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। এ কারণে কনকনে শীতে এ এলাকার জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। চরম
তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা ও বাতাসের দাপটে রাস্তা-ঘাটে যানবাহন ও মানুষ চলাচল কমে গেছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চলাফেরা বেশ কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাতে কাজ না থাকায় অভাবী মানুষের ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্র মানুষগুলো চরম কষ্টে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দিনাতিপাত করছে। তবে এ উপজেলা শীতার্তের মাঝে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কম্বল বিতরণ করেছে।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে গ্রামাঞ্চলসহ ভবদহ পাড়ের মানুষ পড়েছে সবচেয়ে বেকায়দায়। তাছাড়ও ভৈরব নদের পাড়ে থাকা মানুষসহ পশু-পাখির জীবনযাপন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে বিভিন্ন প্রকারের শীতজনিত রোগবালাই। বিশেষ করে শিশুরা ঠান্ডা জনিত জ্বর কাশি নিয়ে ভুগছে দিনরাত তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। টানা কয়েকদিন সকাল ও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় গোটা এলাকা। শনিবার শীতের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সন্ধার পর থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ে। রাত ১০টার পর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় পুরো এলাকা। গত শনিবার, রবিবার সারাদিন হিমেল হাওয়ার কারণে রাস্তা-ঘাট ছিল ফাঁকা। ফলে নওয়াপাড়া চুড়িপট্টি, কাপড়পট্টি, সোনাপট্টি, আকিজ সিটি মার্কেটসহ উপজেলার বিপণিবিতান, রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্টেশন, অটোরিকশা স্ট্যান্ডসহ কোলাহলপূর্ণ স্থানগুলোতে লোকজন ছিল না বললেই চলে। কাজের তাগিদে বের হওয়া সাধারণ মানুষের শীতের কাপড় গায়ে জড়িয়ে সারাদিন কাজ করতে দেখা গেছে। মহাসড়কে লাইট জ্বালিয়ে যানবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে হতদরিদ্র মানুষগুলো আগুন জালিয়ে শীত নিবারণ করছে। এলাকায় ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিকেল থেকে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায় গ্রাম। ফুটপাতের সবজি, মাছ, ফলমূল ও শীতের কাপড় বেচা-কেনা না থাকায় ব্যবসায়ীদের দোকান গুছিয়ে বাড়ি চলে যেতে দেখা গেছে। রিকশাচালক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরাও ভাড়ার আশায় আর বসে থাকছেন না।
তীব্র শীতের কারণে শ্বাসকষ্ট, কাঁশিসহ বেশ কয়েকজন রোগী হাসপাতালে সেবা নিচ্ছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও গ্রাম গঞ্জে বিশেষ করে শিশুরা ঠান্ডার জনিত জ্বর কাশি সহ বিভিন্ন রোগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।
© Deshchitro 2024