নোয়াখালীতে শাহিদুজ্জামান পলাশ (৩৫) নামে এক যুবককে গুলি করে  হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শাহিদুজ্জামান পলাশ নোয়াখালী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। তিনি ওই গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ বছর আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন পলাশ। দেশে আসার পর এলাকায় মাছ ও মুরগির খামার করেন। স্ত্রী নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের পক্ষে কাজ করেন পলাশ। নির্বাচনের দিন তিনি একটি কেন্দ্রে এজেন্টের দায়িত্বে ছিলেন। গত রাত ৮টার দিকে স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে একটি হাঁস পার্টিতে যাওয়ার কথা জানান পলাশ। এরপর রাত ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজন ঘরের পাশে পলাশের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। কাঁচি প্রতীকের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট ও অবৈধ প্রভাব বিস্তারের প্রতিবাদ করায় ওই দিন থেকে স্থানীয় নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা শাহেদুজ্জামানকে নানা হুমকি দিয়ে আসছে। এর জেরে তাকে খুন করা হতে পারে।’


অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে নৌকা প্রতীকের বিজয়ী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম বলেন, ‘আমি গত ১০ বছর নোয়াখালী-২ আসনে সংসদ সদস্য ছিলাম। দীর্ঘ এই সময়ে এলাকায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কিংবা হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপপ্রচারে নেমেছেন। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি।’

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024