দুই মাস পর জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদন বন্ধ করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে অন্য একটি কারখানায় গ্যাস সরবরাহের জন্য যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমানে কারখানাটিতে উৎপাদন করতে গড়ে প্রতিদিন গ্যাসের প্রয়োজন ৪০ থেকে ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট।

যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ খান জানান, নবনির্মিত ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশে চলমান গ্যাসের সংকটের কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস না থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে একসাথে দুইটি কারখানায় চালু রাখা সম্ভব নয়। কৃষক ও ডিলারদের উদ্দেশ্য বলতে চাই বর্তমানে যমুনা সার কারখানায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সার মজুদ রয়েছে, চলতি মৌসুমে সার সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কারখানাটির ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। পরে ৫৭ দিন পর নভেম্বরের ১ তারিখে যমুনা সার কারখানা পুনরায় গ্যাস  সংযোগের পর কারখানায় যান্ত্রিক ত্রুটির সমাধানের শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাত ১ টায় উৎপাদনে যেতে সক্ষম হয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

 জামালপুর,শেরপুর,টাঙ্গাইল ও উত্তরবঙ্গসহ ১৯ জেলায় যমুনা সার কারখানা থেকে সার সরবরাহ করা হয়।বিভিন্ন সময় গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে  ১২০০ থেকে ১৪০০ মেট্রিক টনে নেমে এসেছে সার উৎপাদন।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023