|
Date: 2022-10-14 23:56:21 |
◾ সুখবর ও ইতিবাচক ডেস্ক
দুবাইভিত্তিক গণমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর সারজার শহর আল-হেরায় দুদশক ধরে বাস করছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত নাগরিক মুহাম্মদ দাউদ। তিন বছর আগে তার অদ্ভুত একটা শখ জাগে। তখন নতুন মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ার এক ব্যতিক্রমী মিশন শুরু করেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি ১০০ মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন। জীবদ্দশায় আমিরাতের সব তথা ৪ হাজার সমজিদে ফজরের নামাজ পড়তে চান তিনি।
খালিজ টাইমসকে দাউদ বলেন, শখ থেকেই নতুন নতুন মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় শুরু করেছিলাম। এখন তা দৈনিক রুটিনে পরিণত হয়েছে। নতুন মসজিদে মানুষ আমার মিশন সম্পর্কে জানলে তারা বেশ প্রশংসা করেন।
২২ দেশ ভ্রমণকারী দাউদ বলেন, আমার জীবদ্দশায় আমিরাতের সব মসজিদেই ফজরের নামাজ আদায়ের ইচ্ছা আছে। জানি না কতটা সফল হবে। তবে আমার মনে হয়, আমার ছেলে মুসা বা আমার নাতি আবদুল্লাহও আমার পদাঙ্ক অনুসরণ করবে।
জানাা গেছে, সৌদি আরব থেকে দুদশক আগে আমিরাতে স্থায়ীভাবে চলে আসেন মুহাম্মদ দাউদ। সেখানে এক মার্কিন কোম্পানির সেলসম্যানের কাজ করেন তিনি। এক সময় মোটরবাইক চালানোই ছিল তার শখ। তখন তার ৫টা দামি বাইক ছিল।
এখন আর সে শখ নেই। শখ বদলে গেছে। এখন তার মাত্র দুইটা বাইক আছে। একটি বাইক জার্মানির বিএমডব্লিউর আর-১২০০ আরটি মডেলের, আরেকটি জাপানি কোম্পানি কাওয়াসাকি কোম্পানির নিনজা জেডএক্স১৪ মডেলের।
সাধারণত বিএমডব্লিউর আর-১২০০ বাইক নিয়েই তিনি দূরবর্তী কোনো মসজিদে ফজরের নামাজের জন্য নিজের বাড়ি থেকে রওয়ানা দেন। দূরত্ব অনুযায়ী কখনও শেষ রাত সাড়ে ৩টা বা কখনও ৪টায় নতুন মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য রওয়ানা দেন মুহাম্মদ দাউদ।
© Deshchitro 2024