ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় খামারে ৭০০ হাঁসের মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জাহেরুল ইসলাম। ১৫ মিনিটের ব্যবধানে তার সব হাঁসের মৃত্যু হয়। 



মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের দিঘীরকোণ গ্রামে এ সব হাঁসের মৃত্যু হয়। এতে ২ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাহেরুল। 


খামারি জাহেরুল ইসলাম জানান, শীতের কারণে হাঁসগুলো সকালে একটু দেরিতে ছাড়া হয়। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১১টায় হাঁসগুলোকে ছেড়ে দেয়া হয় মাঠে যাওয়ার জন্য। মাঠে পৌঁছানোর ১৫ মিনিটের মধ্যে তার ৭ শতাধিক হাঁস মারা যায়। পেছনে থাকা হাঁসগুলো কোনোমতে খামারে ফিরিয়ে আনেন। নাহলে বাকি হাঁসগুলোও মারা যেত।


তিনি আরও জানান, তার খামারে এক হাজারের বেশি হাঁস ছিল। এর মধ্যে ২৯০টি হাঁস ফেরত আনতে পেরেছেন। 


ওই খামারির প্রতিবেশী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি হাঁসের মৃত্যুর খবর শুনে মাঠে যান। সেখানে প্রচুর মৃত হাঁস দেখতে পান। পরে জাহেরুল ইসলাম গুনে দেখেন ২৯০টি হাঁস বাঁচাতে পেরেছেন। তার সাত শতের বেশি হাঁস মারা গেছে। শহিদুল খামারিকে মৃত হাঁসগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলার পরামর্শ দেন।


খামারি জাহেরুল ধারণা করছেন, কে বা কারা মাঠের মাঝখানে বিষযুক্ত ধান ছিটিয়ে রাখে। সেগুলো খাওয়ার পরে হাঁসগুলো মারা গেছে। যার মূল্য ২ লক্ষাধিক টাকা। গর্ত খুঁড়ে মৃত হাসগুলো পুতে ফেলা হয়েছে জানান জাহেরুল ইসলাম। 


৫ বছরের বেশি সময় ধরে নিজ বাড়িতে বাণিজ্যিকভাবে হাঁস পালন করছেন জাহেরুল ইসলাম। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন পরিবারের লোকজন। খামারে ১ হাজারের বেশি হাঁস ছিল। মাংস খাওয়ার উপযুক্ত হলেই তিনি এ সব হাঁস বিক্রি করে দেন। 


উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাসিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এ ঘটনায় খামারি বড় ক্ষতির মধ্যে পড়লেন। তিনি আবেদন করলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে। 


বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ কবির বলেন, ঘটনা শুনেছেন। তবে এ বিষয় নিয়ে এখনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024