চলছে শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শীতে যেন কুপোকাত উত্তর জনপদ। ঘন কুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। এরই মাঝে কুয়াশা জড়ানো সকালে প্রতিবছরের ন্যায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পথে-ঘাটে, বিভিন্ন মোড়ে বসেছে ভাপা পিঠার দোকান।

বৃহস্পতিবার (১৮ই জানুয়ারী) সকালে ডোমার পৌর শহরের চিকনমাটি এলাকায় দেখা যায় ভাপা পিঠার বেশ কয়েকটি দোকান। যেখানে সাতসকালে পিঠা কিনতে ভিড় জমিয়েছেন এলাকার সববয়সী মানুষ। বেশ কয়েকটি দোকানে গিয়ে জানা যায়, দোকানগুলোতে বেশ ভালোই ভাপা পিঠা বেচা-কেনা চলছে।

চিকনমাটি পূর্ব ধনীপাড়া এলাকার পিঠা বিক্রেতা আলেজা বেগম বলেন, আমি অনেক বছর ধরে পিঠা বিক্রি করছি। এর মাধ্যমে সামান্য কিছু উপার্জন হয়। আটা, গুড়, নারিকেল দিয়ে ভাপা পিঠা বিক্রি করি। আগে প্রতি পিঠার দাম ৫ টাকা থাকলেও এখন জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ১০ টাকা করে বিক্রি করি। বিভিন্ন লোক এসে পিঠা কিনে নিয়ে যায়।

অন্যদিকে, স্টেশন এলাকার আরেক পিঠা বিক্রেতা জানান, শীত শুরু হলে পিঠার চাহিদা বেড়ে যায়। এজন্য চায়ের দোকানের পাশাপাশি শীতকালে পিঠা বিক্রি করেন তিনি। অনেকেই পিঠা খেতে আসে। এর মাধ্যমে আমারও কিছু উপার্জন হয়।

পিঠা কিনতে আসা মানুষেরা জানান, সকালবেলা গরম ভাপা পিঠা খেতে সবারই ভালো লাগে। গুড়ের পিঠা হওয়ায় খেতেও বেশ সুস্বাদু। বাড়ির পাশে হওয়ায় নিজেদের তৈরি করার ঝামেলা থাকে না। তাই দোকানগুলো থেকে পিঠা ক্রয় করতে আসেন তারা।

প্রসঙ্গতঃ আটা, গুড়, নারিকেল দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করেন বিক্রেতারা। সকালের ভাপা পিঠা ছাড়াও বিকাল থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভাপা সহ আরও বেশ কয়েক রকমের ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান বসে। যেখানে পিঠা কিনতে সাধারণ মানুষের ভিড় পরিলক্ষিত হয়।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024