বগুড়ার নন্দীগ্রামে পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই জনের নামে মামলা ও একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 
তথ্য সূত্রে জানা যায়, নন্দীগ্রাম উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিনের রিধইল দক্ষিণপাড়া মৌজা ও ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিনের ভাটগ্রাম মাসিন্দাগাড়ী নামক স্থানে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে পুকুর সংস্কারের নামে ড্রাম ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রি করে মহাসড়ক ও গ্রামীণ রাস্তা গুলো নষ্ট করে আসছিলো একটি চক্র।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে নন্দীগ্রাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) কুরশিয়া আক্তার ১৯ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে  ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে রিধইল গ্রামের মৃত জয়েন উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আবু জাফর (৫৫), মোজাম হোসেনের ছেলে আতিকুল ইসলাম (৩৫), একাব্বর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ওবাইদুল ইসলাম (৪৫) এই ৩ জনের নামে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
একই অপরাধে ভাটগ্রাম ইউনিনের ভাটগ্রামের মো: বাবলুর ছেলে নুরুন্নবী রহমান (৩৪) কে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৫(১) ধারা লঙ্ঘনে ১৫(১) ধারা মোতাবেক ৫০হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এইদিকে ১৩ই জানুয়ারি ৪নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিনের গুলিয়া গোপালপুর মৌজায় ৬৭ শতক জমিতে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে জমি গর্ত করে খনন করে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি করার অপরাধে মো: কাশেম আলী (৩৮) এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা জমসের আলী।
এছাড়া গত ৩১ ডিসেম্বর বুড়ইল ইউনিনের পেং হাজারকিতে আবাদি জমিতে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির দায়ে জমির মালিক গন্ধর্বপুর এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে আব্দুল মান্নান (৫৫), সহযোগী একই এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম রেজা (৪৫), এস্কেভেটর (ভেকু) মালিক নাহিদ হোসেনের (৩৫) নামে বুড়ইল ইউনিয়ন (ভূমি) উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান আকন্দ মামলা দায়ের করেন।
এগুলো বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কুরশিয়া আক্তার বলেন, যে বা যারা পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রি করে রাস্তা-ঘাট নষ্ট করবে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024