|
Date: 2024-01-23 09:01:01 |
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উচ্চ মূল্যের নিরাপদ সবজি বীট রুট উৎপাদন প্রদর্শনীর কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩ টায় আক্কেলপুর উপজেলার ভানুরকান্দা গ্রামে জাকস ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘ইকোলজি বান্ধব নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, আক্কেলপুর উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন।
এ সময় জাকস ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক (প্রোগ্রাম) ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে আরও বক্তব্য দেন উক্ত প্রকল্পের ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর জনাব মোঃ মেহেদুল হাসান, প্রকল্পের মার্কেটিং ম্যানেজার জাকির হোসেন, শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ মামুনুর রশীদ, সহকারী ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর জাহিদ হোসেন, গোলাম মওলা, মাহবুব সহ জাকস ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ, উপকরণ সরবরাহকারী এবং অত্র এলাকার সবজি উৎপাদনকারী কৃষকগণ।
মাঠ দিবসে বক্তারা উচ্চ মূল্যের বিভিন্ন সবজির নিরাপদ চাষাবাদ, বীটরুট উৎপাদন পদ্ধতি, গুণাগুণ, বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, রক্তচাপের রোগীদের জন্য বীটরুট অনেক উপকারী, এতে থাকা ফাইবার হজম ক্ষমতা উন্নত করে। বীটরুটে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। এছাড়াও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধের জন্যও বীটরুট অত্যন্ত কার্যকরী।
বীটরুট চাষী কৃষক মোঃ নাসির মোল্লা বলেন, তিনি লাল তীর কোম্পানীর বোহান জাতের বীটরুট চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। আগাম রোপন করায় ভালো দামও পাচ্ছেন। এটি চাষাবাদে অন্যান্য ফসলের থেকে খরচও অনেক কম। কোন প্রকার রাসায়নিকও স্প্রে করতে হয় নি। ব্যবহার করেছেন কেঁচো সার, জৈব বালাইনাশক, হলুদ ফাঁদ, প্রোবায়োটিকস। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ মণ বীটরুট প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি করেছেন। প্রকল্প হতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়ে বীটরুটের সাথে সাথী ফসল হিসেবে লাল শাক বুনে বাড়তি ১০০০ টাকাও আয় করেছেন। এখনও জমিতে প্রায় ৩ মণ বীটরুট রয়েছে যা বিক্রি সম্পন্ন হলে মাত্র ৮০-৮৫ দিনে প্রায় ১৩-১৪ হাজার টাকা লাভ থাকবে বলে আশা করছেন তিনি।
উপ-প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) ও ড্যানিডার অর্থায়নে এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর কারিগরি সহযোগিতায় জাকস ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে।
© Deshchitro 2024