টাঙ্গাইলের মধুপুরে নুরুল আলম খান রাসেল নামের এক ব্যবসায়ী নেতার বাসায় ডাকাত দল ঢুকে অবস্থান করে সন্দেহজনক ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জেগে যায় সবাই। আত্মরক্ষার্থে দুই রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করার কারণে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ী রাসেল মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু এর মেয়ের জামাই। টাঙ্গাইল- ময়মনসিংহ সড়কের সাথেই তার রক্তিপাড়ার বাসায় গভীর রাতে ঘটনা ঘটে।
সম্প্রতি গঠিত মধুপুর বণিক সমিতির সভাপতি ব্যবসায়ী নেতা রাসেল জানান, সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে ১০/১১ জনের ডাকাত দলের সবার মুখোশ, পলিথিনে ঢাকা মুখ। হাতে øাভস। রাত দুটোর দিকে ঢুকে দ্বিতীয় তলায় অবস্থান নেয়। রাত তিনটার দিকে কাজের মেয়েকে জিম্মি করে  তিন তলায় ঘুমে থাকা অবস্থায় রাসেল খান ডেকে বের করতে হুকুম করে। রাজী হয়ে ডাকতে গিয়ে চিৎকার দিলে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে রাসেলসহ বাসার সবাই জেগে উঠেন। দ্বিতীয় তলা নিচে অবস্থান করা  মুখোশ গ্লাভস পরা ডাকাতরা এসময় হুমকি দিলে রাসেল তার রিভলভার বের করে পর পর দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন। তার স্ত্রী সন্তানরা মোবাইল ফোনে বাসার সামনের তেলের পাম্পের স্টাফদেরসহ ৯৯৯ থানায় ফোন দেন।পাম্পের স্টাফরা পাশের একাধিক মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়ার খবর প্রচারের ব্যবস্থা করেন। একে একে সবাই ঘুম থেকে জেগে এগিয়ে আসতে থাকে। বিপদের আবাস পেয়ে ডাকাত দল দ্রুত বাসার সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে বের হয়ে যায়। তাদের নিয়ে আসা গাড়িতে দ্রুত পালিয়ে যায়। ডাকাত দল বড় কোন সম্পদ নিতে আসেনি ব্যবসায়ী নেতা রাসেল খান বলেন, ডাকাতি করতে না অন্য কোন উদ্দেশ্যে তারা এসেছিল তা ভাবনার বিষয়। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি লিখিত  অভিযোগ প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।
মধুপুর থানার ওসি  মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, মামলার প্রক্রিয়া চলছে। রাত থেকেই  টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ জামালপুর রোডে অভিযানের মাধ্যমে পুলিশী তৎপরতা চালানো হয়েছে।
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024