যশোরসহ দেশে ২২ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ কারণে শীত আরো বেশি অনুভূত হচ্ছে। 

অভয়নগরে সকাল থেকেই প্রচন্ড শীত অনুভব হয়। সূর্যের আলো দেখা গেলেও কমেনি শীতের প্রভাব। বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধরা শীতের পোশাক পরে চলাফেরা করতে দেখা গেছে, এমনকি দুপুর গড়িয়ে বিকালেও রাস্তাঘাটে শহর বন্দরে শীতের পোশাক পরে বিভিন্ন শ্রেণি পেশা মানুষের  চলাফেরা করতে দেখা যায়। 

আগামী ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এরপর রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এদিন সকাল ৬টায় যশোরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে, আবহাওয়া অফিস বলেছে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।

শুক্রবার সকালে যশোরে শীত কিছুটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে ব্যাপকহারে বেড়ে যায়। রাতে করকনে শীতে মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। এসময় শীত ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে যায়।

শনিবার আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, যশোরসহ কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানা যায়।

রোববার সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সোমবারের পর থেকে পরবর্তী পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।তীব্র শীত অনুভব করে মসজিদের মুসল্লী  জাহিদুল ইসলাম বলেন, আজ শীত যেন কামড়িয়ে ধরেছে, শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন দিনের আলো থাকলেও শীত কিন্তু প্রচুর।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024