মন খারাপের দিনগুলোতে আমি নিজেকে সামলাতে পারি না। হুট করেই কেঁদে ফেলি। চাইলেও নিজেকে যেন কিছুতেই আটকাতে পারি না। 

এরপর আস্তে আস্তে মনের চারপাশে ভিড় জমায় রাজ্যের সব মন খারাপের গল্প, যার পৃষ্ঠা একটার পর একটা উল্টাতেই থাকে। থামতে চায় না একদমই। সাথে ভারী হয় কন্ঠস্বর, ফুলে যাওয়া চোখ তো আছেই।


প্রচন্ড কান্নার রেশে শরীর হয় ক্লান্ত। তারপর মাথা ধরার সাথে ঘুমের চেষ্টা এবং এক সময় এসে ঘুম। আর একবার যদি ঘুম এসেই যায়, তবে সব শান্ত। 

তারপর যখন সকাল হয়। রোদের উঁকিঝুঁকিতে একটু দেরি করে ঘুম ভাঙে। তখন আর মনে থাকে না, ঘুমানোর আগে আমার ঠিক কতোটা মন খারাপ ছিলো। বরং মনটা তখন অনেকটা শীতলই থাকে।  ঠিক সকালের মিষ্টি রোদের মতো।


হ্যাঁ মন খারাপ হতেই পারে। মন খারাপ যে মনুষ্য জীবনের একটা অংশ, নিত্যদিনের রুটিন। তবে হ্যাঁ, এই খারাপটা না  সারাজীবন থাকে না। একদম বেশি হলে কয়েকদিন! তারপর নিজে থেকেই উপলব্ধি হতে থাকে যে এইসব মন খারাপের কোনো মানেই হয় না। 


মন খারাপ হয়, হবেই। একে বাদ দেওয়াও যাবে না জীবন থেকে। তাই মন খারাপ হলে একটু কেঁদে ফেলুন। যদি কান্না না আসে তবে রাজ্যের সব মন খারাপের গল্পগুলো মনে করে হলেও কাঁদুন। কান্না শেষ হলে আপনি নিজেকে নতুনভাবে অবিষ্কার করতে পারবেন। 

মনে রাখবেন বৃষ্টির পরে আকাশে কিন্তু সুন্দর রঙধনু উঠে এবং তা যার নজরে পড়ে, তারই নজর কাড়ে।

লেখক : প্রণব মন্ডল।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024