|
Date: 2024-02-11 12:46:10 |
টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরীর কারখানায় র্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরীর কারিগর ও প্রশিক্ষক রামু ঈদগড়ের মনির মাষ্টারকে বিপূল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল এন্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সালাম চৌধুরী জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৭টারদিকে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর (সিপিএসসি) ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ উপজেলার ২নং হ্নীলা ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম জুম্মাপাড়া এলাকার লামা শীলের ঝিরি পাহাড়ের পাদদেশে অভিযানে যায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩/৪জন দৌড়ে পালানোর সময় রামু ঈদগড়ের কোদালিয়া কাটা গ্রামের ছমুদা বড় বাড়ির মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র মোঃ মনিরুল হক (৬০) ওরফে মনির মাস্টারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে অভিযানস্থল হতে ২টি দেশীয় তৈরী এক নলা বন্দুক, ২টি দেশীয় তৈরী এলজির ব্যারেল, ২টি হাতল ব্যতীত দেশীয় তৈরী এলজির বডি, লোহার তৈরী দেশীয় এলজির ট্রিগারের বিভিন্ন ছোট অংশ ১৪টি, ১টি কাঠের হাতলযুক্ত করাত, ১টি লোহার তৈরী ড্রিল মেশিন, লোহার তৈরী বেঞ্চ বাইছ ১টি, ১টি লোহা পিটানো কাজে ব্যবহৃত বস্তু, হাতুড়ী ২টি, বেøড সংযুক্ত একটি হেস্কো মেসিন, হেস্কো বেøড ৫টি, প্লাস ২টি, কাটিং প্লায়ার ১টি, লোহার তৈরী চিমটি ১টি, স্ক্রু ড্রাইভার ১টি, বাটাল ১টি, রানদা ১টি, লোহার পাইপ ৫টি এবং তার কাটা ৬৬টি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের অন্যতম শীর্ষ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নির্মাতা ও যোগানদাতা হলেন মনিরুল ইসলাম ওরফে মনির মাস্টার। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, এ পর্যন্ত সহস্রাধিক আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করেছে এবং অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে মনিরুল ইসলাম থেকে মনির মাস্টার উপাধি পেয়েছে। সে আরো জানায়, তার পিতার নিকট থেকে সে অস্ত্র তৈরির প্রশিক্ষণ নেয় এবং দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ অস্ত্র তৈরি পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সে এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামীগণের সহযোগিতায় নিজেরা পরস্পর পরস্পরের জ্ঞাতস্বারে এবং সহযোগীতায় কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরীর প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করে দেশীয় বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র উক্ত গোপন আস্তানায় তৈরী করে কক্সবাজার শহর ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং আরসা সদস্যদের নিকট উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করে থাকে।
মিডিয়া কর্মকর্তা আরো জানান,উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত এজাহার দাখিলের পর ধৃতকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।
© Deshchitro 2024