|
Date: 2022-10-18 12:20:52 |
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসানের (৩৯) ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শহীদ মিনারের সামনের সড়কে একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়।
হামলার শিকার শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা রিসোর্ট সেন্টারের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করে ছাকায়াত হোসেন।সে অনেক কিছু নিয়ে অনিয়ম ও দূর্নীতি করে। গত রোববার প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষকের সম্মানী ভাতার ৫০০ টাকা থেকে সে চাঁদা দাবি করে।
হাতিয়ার দক্ষিণ রাজের হাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মফিজ উদ্দিনসহ কয়েকজন শিক্ষক তাকে সম্মানী ভাতা থেকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক মফিজ উদ্দিন কে মারধর করে। এ ঘটনায় সকল শিক্ষক তীব্র প্রতিবাদ করে তার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেয়। তখন ওই গুলো আমরা ওপর মহলে প্রেরণ করি। সম্ভবত এ ঘটনার জের ধরে ছাকায়াতের যোগসাজশে আমার ওপর হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, সন্ধ্যার দিকে দোকান থেকে নাস্তা করে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফিরছিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল। শহীদ মিনার এলাকায় পৌঁছালে ১০-১২ জনের মুখোশধারী লোক তাকে অপর একটি মোটরসাইকেল দিয়ে ধাক্কা দিয়ে সড়কে পেলে দেয়।
এরপর মুখোশধারীরা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি হাতিয়া থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করে ছাকায়াত হোসেন এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়ভাবে জানাযায়, তিনি ঘটনার পর-পরই গা ঢাকা দিয়েছেন।
হাতিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।পুলিশ অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে হামলাকারিদের গ্রেফতার করা হবে।
© Deshchitro 2024