ভাষা আন্দোলনের ৭৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও অদ্যাবধি লাখাইয়ে বেশীরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি।

ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়ায়  তাদের শ্রদ্ধা জানাতে পারেননা শিক্ষার্থীরা।জানতে  পারেননা শহীদদের আত্মত্যাগের সঠিক ইতিহাস। শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ২১ ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়ে থাকে অনেকটা দায়সারাভাবে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে  কাঠ ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছেন। উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর থেকে তথ্যে জানা যায় মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৮৭ টি।এর মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে  মাত্র ২৮টিতে।

৭২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে ২০ টিতে এবং ৫২ টি এখনো শহীদ মিনার নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।মাধ্যমিকের ১১ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে ৭ টিতে।উপজেলার ২ টি কলেজের ১ টিত শহীদ মিনার নেই।শহীদ মিনার নেই ২ টি মাদ্রাসায়ও।

এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক এর সাথে আলাপকালে জানান সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা উচিৎ। আমাদের ৭২ টি সপ্রাবির মধ্যে ২০টিতে শহীদ মিনার রয়েছে।  প্রতিটি বিদ্যালয়ে তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।  শহীদ মিনার তৈরির জন্য আলাদা কোন বাজেট বরাদ্দ নেই। তবুও আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে আরোও ১০ টি বিদ্যালয়ে যাতে শহীদ মিনার স্থাপন করতে পারি।তবে যে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি সংকট রেয়েছে সেখানে সমস্যার সমাধানে কাজ করছি। শহীদ মিনার নির্মানের জন্য আলাদা বরাদ্দ না থাকায় স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ও দাতাদের সহযোগিতায় শহীদ মিনার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু তেমন সাড় পাওয়া যাচ্ছে না ।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ও একাডেমিক সুপারভাইজার জান্নাতুন নাহার লিজাজানান সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা উচিৎ। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে প্রতিটি বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসায় শহীদ মিনার  স্থাপন করা যায়।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024