টেকনাফে র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মায়ানমারে পাচারের প্রস্তুতিকালে ৮শ ৯৫ বোতল ভোজ্য সয়াবিন তৈল বোঝাই জীপ গাড়ি, বিপূল পরিমাণ ঔষুধ ও ১০বস্তা ময়দাসহ পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। 


সুত্র জানায়,গত ১২ফেব্রæয়ারী ভোর সাড়ে ৫টারদিকে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর (সিপিসি-১) টেকনাফ ক্যাম্পের চৌকষ একটি আভিযানিক দল নিজস্ব গোয়েন্দা সংবাদে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে অন্য দেশে পাচারের উদ্দেশ্যে কতিপয় পাচারকারী ভোজ্য তৈলসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য পাচারের তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ সদর ইউপির হাতিয়ারঘোনার জনৈক আবুল বাশার হাজির মুরগির খামার সংলগ্ন ভিটা এলাকায় বিশেষ অভিযানে যায়। এসময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পলায়নের চেষ্টাকালে হাতিয়ার ঘোনার আবুল বশরের পুত্র আবদুল মান্নান (২৪) এবং মৃত হাছন আলীর পুত্র আলী হোসেন (৪৫) নামে দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ১টি জীপ গাড়িসহ ৮শ ৯৫টি বোতলে ৪হাজার ৪শ ৭০লিটার ভোজ্য সয়াবিন তৈল, বিভিন্ন প্রকারের ১লাখ ৩৬হাজার ৫শ ৫০পিস ঔষধ ও ১০বস্তায় মোট ৫শ কেজি ময়দা উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য ১১লাখ ৮০হাজার টাকা।


স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,সাম্প্রতিক সময়ে পার্শ্ববর্তী মায়ানমারে যুদ্ধাবস্থার কারণে দেশটিতে তৈল, ঔষধ ও খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ব্যাপক ঘাটতি এবং দ্রব্যমূল্যের প্রচন্ড উর্ধ্বগতি দেখা দেয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগ-সাজশে সাগর ও নাফনদী উপকূলের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এসব পণ্য ওপারে পাচার হয়ে আসছিল। গ্রেফতারকৃতরা এই চোরাচালানের সাথে জড়িত এবং তাদের পরস্পর-পরস্পরের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন কোম্পানী থেকে পাইকারি দামে ভোজ্য তৈল, ঔষধ, ময়দা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করত। পরে আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য নদী ও সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে অবৈধভাবে চোরাইপথে এ দেশ হতে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করত বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।  


কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল এন্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সালাম চৌধুরী জানান,গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024