কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলো থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছেন আরও দেড় হাজার রোহিঙ্গা। স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক মিয়ানমারের এসব নাগরিকদের মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ক্যাম্প থেকে বাসে করে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাতে তারা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবেন।


অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শামসু দৌজা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


তিনি জানান, ২৩তম দফায় উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্প থেকে প্রায় দেড় হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচর যাচ্ছেন। বুধবার সকালে নৌবাহিনীর জাহাজে তাদের ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। এর আগে একই প্রক্রিয়ায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ৩২ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান।


পরিবারের ৭ সদস্য নিয়ে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সামনে বাসের অপেক্ষা করছিলেন মোহাম্মদ রশীদ। তিনি বলেন, পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। এখানে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। ভাসানচরে থাকা রোহিঙ্গারা (কক্সবাজার থেকে) বেশি রেশন পায়। তাই ভাসানচরে চলে যাচ্ছি।


তিনি আরও বলেন, আরকানের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানেও (মিয়ানমারে) ফিরে যাওয়ার কোনো পথ দেখছি না। ভাসানচরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই।


প্রসঙ্গত, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে রাখাইন রাজ্যের ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। তারা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন। শরণার্থীদের চাপ কমাতে ২ বছর আগে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024