|
Date: 2024-02-14 12:58:49 |
বুধবার (১৩ফেব্রুয়ারি)রাতে দিনাজপুর সদরের ৮নং শংকরপুর ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট বনতারা বালুপাড়া আদিপুরুষ শ্মশান ঘাট কালি মন্দিরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় বনতারা বালুপাড়া শ্মশান ঘাটের সাধারন সম্পাদক শিব প্রসাদ বাদি হয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দিনাজপুর কোতোয়ালি পুলিশ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উওম কুমার রায় ও রতন সিং।
১৪ফেব্রুয়ারি সকালে বনতারা বালুপাড়া আদিপুরুষ শ্মশান ঘাট মন্দির প্রাঙ্গণে গেলে শ্মশানঘাট কালি মন্দিরের সেবায়েত শুপতু বর্মন বলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য কতিপয় দুষ্কৃতীকারি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের শ্মশানঘাট কালি মন্দিরের কালি মূর্তি ভাংচূড় করেছে।তবে তিনি উদ্দেশ্য করে কাউকে দোষারোপ না করলেও যারা সরকারি খাস জমি দখল করে দীর্ঘদিন থেকে খাচ্ছে তাদের দিকেই আঙ্গুল তুলেন।তবে ঘটনাটি কে ঘটিয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেনি।বনতারা বালুপাড়া শ্মশান ঘাটের সভাপতি উপেন্দ্র চন্দ্র বলেন এই শ্মশানঘাট কালি মন্দিরের জায়গাটি স্থানীয় চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকারি খাস জমি দখলে রেখে আবাদ করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০শতক নিয়ে দিয়েছে মন্দির করার জন্য ।আর সেখানেই মন্দির করে কালি মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো করে আসছিলাম।হঠাৎ গতকাল রাতে কে বা কাহারা আমাদের মন্দিরের কালি মূর্তিটি ভেঙে চূড়ে বাইরে ফেলে রেখে দিয়েছে।শ্মশান ঘাটের সাধারন সম্পাদক শিব প্রসাদ বলেন আমাদের যতটুকু মাটি দিয়েছে সেখানেই মন্দির করে কালি পূজা করে আসছিলাম।অথচ যারা এই মূর্তি ভেঙ্গে দিয়েছে তারা মোটেও ভাল কাজ করেনি।এই জায়গাটি আমাদের আদি পুরুষদের শ্মশানঘাট ছিল ।এখন এগুলো আবাদ ভুমীতে পরিণত হয়েছে ।এটা আমাদের কোন সমস্যা ছিল না। অথচ আজকে যারা মন্দিরের সামান্য জায়গাটির জন্য যদি কেউ এরুপ কাজ করে থাকে তাহলে মোটেও ভাল করেনি। যেহেতু আমরা কাউকে দেখিনি সেহেতু নির্দিষ্ট করে কাউকে দোষারোপ করতে পারছি না। তবে পুলিশি তদন্তেই বেরিয়ে আসবে প্রকৃত ঘটনা এমনটাই মন্তব্য করেন তারা।
৮নং শংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার প্রকৃত কারন খতিয়ে দেখছি। তবে এই মন্দিরের জন্য জায়গাটি আমি খাস আবাদি জমির মালিকদের কাছ থেকেই নিয়ে দিয়েছিলাম । যে যার ধর্ম সে সে করবে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা কারো উচিত নয় । তবে ঘটনাটি কে ঘটিয়েছে আর কেনইবা করেছে সেটা তিনি স্পষ্ট নয়।দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন ঘটনাটি শুনার পরপরেই ঘটনাস্থলে আমাদের থানা থেকে পুলিশ সদস্যদের পাঠিয়েছি।তদন্ত চলমান রয়েছে।তদন্ত শেষেই বিস্তারিত জানা যাবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
© Deshchitro 2024