|
Date: 2024-02-19 12:04:44 |
মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। তাই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অনিশ্চতা জেনে ক্যাম্পের কাঁটাতার কেটে পালিয়ে যাচ্ছেন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গারা।
এরই মধ্যে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ১ ঘণ্টার চেষ্টায় চেকপোস্ট বসিয়ে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে আটক করা হয়েছে ৪০ রোহিঙ্গাকে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) জানায়, ক্যাম্পে কাঁটাতার কেটে রোহিঙ্গারা দেশের নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে বাড়তি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে উখিয়া ডিগ্রি কলেজে এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি চালিয়ে ৪০ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
পরে তাদের কুতুপালংস্থ ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মূলত কাজের সন্ধানে তারা নানা উপায়ে ক্যাম্প ছাড়ছেন বলে জানিয়েছে এপিবিএন।
উখিয়া-৮ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. আমির জাফর বলেন, ক্যাম্প ছেড়ে অন্যত্রে চলে যাওয়ার সময় যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে চলতি মাসে ৫১১ জন রোহিঙ্গা ধরে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তারা মূলত প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে ক্যাম্প ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে এপিবিএন তাদের সজাগ করেছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সরকারি সেনা ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর ৩৩০ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেন। তাদের মধ্যে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের সংখ্যা ছিল বেশি। এ ছাড়া সে দেশের সেনাবাহিনী, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেনও তাদের মধ্যে। আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জনকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এখনও টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বিপরীতে পাশে মিয়ানমারের সরকারি সেনা ও আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। সেই সংঘর্ষে জের ধরে বর্তমানে টেকনাফ শহর ,শাহপরীর দ্বীপসহ আশপাশের এলাকায় সেখান থেকে আসা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
© Deshchitro 2024