১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় এক বিদ্রোহ শুরু হয়। যা অবশেষে পরের দিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) তৎকালীন সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ এবং গ্রেনেড সমর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়। কিন্তু ততক্ষণে তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ সহ ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা সর্বমোট ৭৪ জন দেশপ্রেমিক নাগরিককে হারায় বাংলাদেশ।


এই নৃশংস হত্যাকাজের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট ইতিমধ্যে রায় দিয়েছেন।


মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য এখন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় বিচারিক আদালতে এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, এ মামলায় আরও ২০০ জন সাক্ষীকে বিচারিক আদালতে উপস্থাপন করা হতে পারে। এভাবেই এগিয়ে চলছে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য। 


এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্তব্ধ হয়ে যায়। এক অপরিসীম ক্ষতি সাধিত হয় যা কোন কিছুর বিনিময়ে পূরণ করার নয়। ধারণা করা হয় বাংলাদেশ বহু অংশে পিছিয়ে পড়েছে এই পিলখানা ট্রাজেডির জন্য। আজও নিহতদের স্বজনরা সহ পুরো দেশ সেই ঘটনার রেষ বয়ে বেড়াচ্ছে। তাইতো মনের গহীনে প্রতিধ্বনিত হয় হায়দার হোসেনের সেই গান...


"কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে সিক্ত,

কত প্রদীপ শিখা জ্বালালেই জীবন আলোয় উদ্দীপ্ত,

কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য,

নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ।


আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া, করিতে পারিনি চিৎকার।

বুকের ব্যাথা বুকে জমায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার।"


মোঃ নাজমুল হাসান: শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।


Email: pressnazmulbd@gmail.com

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024