|
Date: 2024-02-27 07:28:27 |
টেকনাফের নাফ নদী ও সমুদ্র উপকূলীয় বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রাতের আঁধারে মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে খাদ্যপণ্য ও অকটেন।বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে আসছে ভয়ংকর মাদক আইস ও ইয়াবা। উপকূলীয় এলাকার ডজনের বেশী পয়েন্ট দিয়ে রাত নামলে পাচারের হিড়িক পড়ে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা। এইসব পয়েন্টের মধ্যে বেপরোয়া সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল নৌ-ঘাটের সিন্ডিকেট। এই ঘাট দিয়ে রাত নামলেই মিয়ানমারে খাদ্যপণ্য ও অকটেন পাচারের হিড়িক পড়ে যায়। মুন্ডারডেইল ছাড়াও শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম পাড়া ঘাট, সদর ইউনিয়নের লম্বরী ঘাট, বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া, নাফ নদীর টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া ট্রানজিট ঘাট, দেড় নম্বর স্লুইস, সদরের বরইতলী, হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা, ওয়াব্রাং, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল সহ অন্তত ডজনের বেশী পয়েন্টের কোন না কোন এলাকা দিয়ে প্রতি রাতে মিয়ানমারে অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য ও অকটেন পাচার হয়ে যাচ্ছে। এতে স্থানীয় বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। ফলে আসন্ন রমজানে বাজারে খাদ্যপণ্যের সংকট ও দাম বৃদ্ধির আশংকা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে কতিপয় অসাধু চক্রের সদস্যের পাচারকারীদের সাথে সখ্যতা রয়েছে। পৌরসভার তিনটি পয়েন্টে এই অসাধুতার সাথে চুক্তি করেই পাচার হয় বলে দাবী স্থানীয়দের। পৌরসভার পয়েন্টে পাচারের মূলহোতা জালিয়াপাড়ার সৈয়দ আলমের নেতৃত্বে সাত জনের প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বলে জানা গেছে।
কোন কোন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে অকটেন জব্দ করা হলেও অনেকক্ষেত্রে পাচারে জড়িত যানবাহন মামলা না দিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আবার জব্দ অকটেনের একটা অংশ সড়িয়ে ফেলার অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে পাচারকারীরা।
তেমনিভাবে গত ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে মুন্ডারডেইল ঘাটে অকটেন বোঝাই চাঁদের গাড়ী জব্দ করে বিজিবি সদস্যরা। এসময় চালক-মালিক ও পাচারে জড়িত সিন্ডিকেটের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
তবে একদিন পর সেই গাড়িটিকে চালক ফতেলিয়া পাড়ার ইসলামের বাড়িতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। গাড়িটির মালিক মুন্ডারডেইলের শহীদ উল্লাহ।
এসময় বিজিবির সাথে যোগাযোগ করে অকটেন জব্দের কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।
তবে খুরের মুখ বিজিবির কাছে অভিযানের ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্যাটেলিয়ানের অন্য কোন টীম অভিযান চালিয়ে থাকতে পারেন বলে জানান তিনি।
চাঁদের গাড়ির ব্যাপারে তিনি বলেন মালিকের অজান্তে পাচারকারীরা গাড়িটি ব্যবহার করেছিলেন বলে জানতে পেরে গাড়িটি ব্যাটালিয়ন থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
অভিযানটার ব্যাপারে টেকনাফ বিজিবির অধিনায়ককে ক্ষুধে বার্তা দিয়েও জবাব পাওয়া যায় নি।
মুন্ডার ডেইল নৌকার ঘাট থেকে প্রতি রাতে মায়ানমারে অকটেন,সয়াবিন তৈল,বিভিন্ন মালামাল পাচারের বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। এইসব সিন্ডিকেটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধিদের নামও বিভিন্নভাবে উঠে আসছে। আর অকটেন পাচারে সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছেন সাবরাং ও টেকনাফের বেশ কয়েকটি পেট্রোলপাম্পের মালিক। তদারকির অভাবে নিয়ম না মেনে তারা পাচারকারীদের কাছে অকটেন বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে।
পাচারে জড়িত নৌকার মাঝিরা :
•••••••••••••••••••••••••••
আনোয়ার মিয়া পিতা:আবদু সালাম।
মোহাম্মদ হোছন(মাছন)পিতা:জাফর আলম।নুরুল আমিন(লেড়াইয়া) পিতা:অজ্ঞাত রশিদ মিয়া পিতা:নবী হোছন।
নুর হোছন পিতা:নুরুল ইসলাম।
রহিম উল্লাহ পিতা:মৃত হোছন আহমদ।
সর্বশেষ রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) রাতে আনোয়ার মাঝি মোহাম্মদ হোসেন মাঝি প্রকাশ মাসন ও রশিদ আলম মাঝির নৌকায় মিয়ানমারে খাদ্যপণ্য ও অকটেন পাচার করা হয়েছে বলে দাবী স্থানীয় সূত্রের আর বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে নিয়ে আসা হয়েছে মাদক ইয়াবা।
© Deshchitro 2024