কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব আর মাদ্রাসার অফিস সহকারীকে বরখাস্তের সূত্র ধরেদিনাজপুরে সদর উপজেলার দাইনুর ইসলামিয়া দ্বি মুখী  দাখিল  মাদ্রাসার সুপার . মোঃ মকবুল হোসেনকে লাঞ্চিত এবং শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আহত করার এক অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায়  অভিযোগ  দায়ের করেছেন ওই ভুক্তভোগী।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ) সকাল ১১টায় সদর উপজেলার কমলপুর এলাকা দাইনুর ইসলামিয়া দ্বিমুখী  দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায়  এ ঘটনা ঘটে। পরে মাদ্রাসার শিক্ষকদের আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে  থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী মাদ্রাসা সুপার মোঃ মকবুল হোসেন। অভিযুক্তরা হলো মাদ্রাসার সহ সুপার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম,ইবঃ ক্বারী মহব্বত আলী,বরখাস্তকৃত অফিস সহকারী হাবিবুর রহমান,জীব বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক রেজাউল ইসলাম,সহকারী মৌলভী ইবঃ মোঃ নজরুল ইসলাম এবং শরীরচর্চা শিক্ষক মেনজারুল ইসলাম ।

অভিযোগ  সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা মাদ্রাসা থেকে অনৈতিক ফায়দা হাসিল করার জন্য বিভিন্ন সময় আমার উপর চাপ সৃষ্টি করত। সেই কারণে তাদের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। সম্প্রতি মাদ্রাসা অফিস সহকারী হাবিবুর রহমানের  বরখাস্তকে কেন্দ্র করে   আমার সঙ্গে তারা বিরোধে জড়ায়। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোটা, রড, শাবল দেশি অস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসার ভিতরে  প্রবেশ করে। পরে টেবিল, চেয়ার ভাঙচুর করে এবং খাতাপত্র ছিঁড়ে ফেলে জোর করে বিভিন্ন জায়গায় সই নেয়। এ সময় ওই ভুক্তভোগী মাদ্রাসা সুপারকে তুলে নিয়ে গিয়ে  মারধর শুরু করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে দিনাজপুর সদর হাসপাতালে  ভর্তি করে । ইতিপূর্বেও গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উল্লেখিত আসামীদ্বয় মাদ্রাসার সুপার মোঃ মোকবুল হোসেনকে ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে একটি ঘড়ে বন্ধ করে রেখে শারিরীক নির্যাতন চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন ।এ ঘটনায় মোঃ মোকবুল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।ভুক্তভোগী মোঃ মোকবুল হোসেনের পরিবার জানায় যারা বারবার এরুপ কর্ম কাণ্ড ঘটাচ্ছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024