মুহা.আব্দুল্লাহ ইমরান :


হিজরি সনের প্রথম মাস মহাররম। গ্রহণযোগ্য মতানুসারে, মহাররমের ১০ তারিখ হলো আশুরার দিন। মহাররম মাসে অতিগুরুত্বপূর্ণ আমলের মধ্যে রোজা অন্যতম। 

হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (স.) ইরশাদ করেন, রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হলো আল্লাহর মাস মহাররম (মাসের রোজা) আর ফরজ সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হলো রাতের সালাত।

(সহীহ মুসলিম )


কেন আশুরার রোজা?

ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুলাহ (স.) মদিনায় এসে দেখলেন যে, ইহুদীরা আশুরার দিন সওম পালন করছে। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন "এটা কোন দিবস যে তোমারা সওম পালন করছ?" তারা বলল, এটা এমন এক মহান দিবস যে দিবসে আল্লাহ তায়ালা মুসা (আ.) ও তার সম্প্রদায়কে নাজাত দিয়েছিলেন এবং ফেরাউনকে তার দলবলসহ ডুবিয়ে মেরেছিলেন। মুসা (আ.) শুকরিয়া হিসেবে এ দিনে রোজা রেখেছিলেন তাই আমরাও এ দিবসে রোজা রাখি। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (স) বললেন, "তোমাদের চেয়ে আমরা মুসা (আ) এর অধিকতর ঘনিষ্ট ও নিকটবর্তী"। আতঃপর, রাসূলুল্লাহ (স) সওম পালন করলেন এবং অন্যদের পালনের নির্দেশ দিলেন। 

(সহীহ মুসলিম)


কোন দিন হবে আশুরার রোজা?

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণনা করেন,

আশুরার দিন রাসূলুল্লাহ (স) রোজা রাখলেন এবং (লোকদেরকে) রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। লোকেরা বললেন, হে রাসূলুল্লাহ! ইয়াহুদি এবং খ্রিস্টানরা এ দিনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (স) বললেন, ইনশাআল্লাহ আগামী বছর আমরা নবম তারিখেও রোজা রাখবো । বর্ণনাকারী বলেন, আগামী বছর আসার পূর্বেই রাসূলুল্লাহ (স) এর ওফাত হয়েছে। 

(সহীহ মুসলিম)

উপরোক্ত হাদিস থেকে পরিলক্ষিত যে, যেহেতু রাসূলুল্লাহ (স) মহাররমের দশম তারিখে রোজা রেখেছেন এবং নবম তারিখেও রোজা রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং, এখন কেউ রাখতে চাইলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) ইচ্ছাপূর্বক নবম এবং দশম উভয় দিনে রাখবেন। 


এক বছরের গুনাহ মাফ :

হযরত কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেছেন, "আশুরার দিনের সওমকে আল্লাহ তায়ালা বিগত এক বছরের গুনাহের কাফ্ফারা হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন

(সহীহ মুসলিম)



প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024