কাসাভার পুষ্টিণে বহুগুণে গুণান্বিত যা আটার পুষ্টিগুণ গমের আটার চেয়ে অনেক বেশি। এই আটা থেকে রুটি ছাড়াও অনেক প্রকার সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। কাসাভা ভিটামিনের দিক দিয়েও শীর্ষে। কাসাভার খাদ্যমানের মধ্যে প্রোটিন আছে ১০ শাতাংশেরও বেশি। আ্যমেইনো অ্যাসিড ও কার্বোহাইড্রেট আছে যথাক্রমে ১০ ও ৩০ শতাংশ। আরে আছে ফ্রকটোজ ও গ্লকোজ। খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম কাসাভা আলুতে রয়েছে ৩৭ গ্রাম শর্করা, ১.২ গ্রাম আমিষ, ০.৩ গ্রাম চর্বি, ৩৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৭ মিলিগ্রাম আয়রন, ০.০৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন এ, ৩৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ১৪৬ ক্যালরি খাদ্য শক্তি।

 

মধুপুরের লাল মাটিতে চাষ হচ্ছে কাসাভা। এলাকায় কাসাভার চাষ যুগ যুগ ধরে। স্থানীয় ভাবে এই কাসাভা শিমুল, শিমলাই আলু নামে সমাধিক পরিচিত। আলুর গাছের পাতা শিকড় মূল অনেকাটা কাসাভার মতো। তাই স্থানীয়রা আলুকে শিমুল বা শিমলাই আলু বলা হয়ে থাকে এক সময় গ্রামের মানুষেরা ক্ষুধা নিবারণের জন্য আলু প্রচুর খেত।

 

সুস্বাদু থাকায় পেট ভরে খেত স্থানীয়রা। জমির আইল, বাড়ির পালানে, আনারস বাগানের আইলে, বাড়ির আশে পাশে প্রায় বাড়িতে সেকালে বৃহত্তর অরণখোলা, আউশনারা ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হতো। ধীরে ধীরে বানিজ্যিক ভাবে আনারস, কলাসহ অন্যান্য ফসল চাষের ফলে শিমুল আলুর চাষ অনেকটা ভাটা পড়েছে। এখন বিদেশে এ আলুর বেশ চাহিদা হওয়ায় কৃষকরা শিমুল আলু বা কাসভা চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

 

সম্প্রতি কৃষি বিভাগ আবার কাসাভা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য প্রশিক্ষন বীজ দিয়ে উৎসাহিত করছে।

 

কাসাভার বাগান দেখতে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মধুপুরের গারো বাজার এলাকায় এ বাগানটি অবস্থিত।

 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024