রাজশাহীর কাটাখালী বাজারে গতকাল মঙ্গলবার (৫ই মার্চ) রাত ৮:৪৫ নাগাদ অটোচালক ও স্থানীয়দের হামলার শিকার হন 'দৈনিক দেশচিত্রে'র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি "সাজ্জাদ হুসাইন" (২১) ও তার সাথে থাকা তার ভাই আল ইমরান (৩৭), ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই শিশু।


জানা যায়, রাজশাহীর কাটাখালী থেকে বিনোদপুর আসার জন্য অটোতে ওঠেন সাজ্জাদ ও তার ভাইয়ের স্ত্রী। এ সময় তার ভাই সেখান থেকেই ভাড়া দিয়ে দিতে চাইলে অটোচালক ভাড়া দ্বিগুণ দাবি করে, সে সময় তার ভাই আল ইমরান এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে অটোচালক তাদের ওপরে ক্ষিপ্ত হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।


এ সময় সাজ্জাদ প্রতিবাদ করলে অটোচালক অটো থেকে নেমে তাদের দুজনকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে এবং মারতে উদ্যত হয়। এ সময় আশপাশ থেকে আরো কয়েকজনকে ডেকে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়।


অটো থেকে হাতুড়ি বের করে আল ইমরান (৩৭) এর মাথায় আঘাত করে অটোচালক এবং তার সাথে থাকা অজ্ঞাত ৫/৬ জন "সাজ্জাদ"কে রাস্তার পাশে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং তার মোবাইল ছিনতাই করার চেষ্টা করে। তৎক্ষণাৎ কাটাখালী থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অটোচালক ব্যতীত সকলে পালিয়ে যায় এবং অটোচালককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে, এরপর উভয় পক্ষের অভিযোগ নিয়ে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেন।


এ ঘটনার পরে ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হুসাইনের ভাই আল ইমরান বাদী হয়ে কাটাখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।


এ বিষয়ে সাজ্জাদ হুসাইন জানান, আমি ও আমার ভাইয়ের স্ত্রী এবং দুই সন্তান একত্রে কাটাখালী থেকে বিনোদপুর আসার জন্য অটোতে উঠি, ভাই আমাদের অটোতে তুলে দিতে এলে তিনি আগেই ভাড়া দিয়ে দিতে চান। এ সময় ১০ টাকার ভাড়া ২০ টাকা চাওয়ায় ভাই এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেন, তখন অটোচালক বলেন, "থাকলে থাকেন না থাকলে নেমে যান ভাড়া এটাই" এভাবে কথা কাটাকাটি হলে অটোচালক গালিগালাজ শুরু করে এবং আমাদের মারতে আসে। তখনই আশপাশ থেকে আরো ৫/৬ জন এসে আমাদের দুজনকে দুদিকে নিয়ে পেটাতে শুরু করে। অটোচালক গাড়ি থেকে হাতুড়ি বের করে আমাদের মারতে আসে, আমি তাকে বাধা দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মারতে আসে, তখন আমি প্রাণ ভয়ে দৌড়ে সরে আসি। পরে টহল পুলিশ আসলে অটোচালক ছাড়া সবাই পালিয়ে যায়। আমি আমার প্রক্টর স্যারকে বিষয়টি জানাই, তিনি কাল আমাকে জিডির কপিসহ তার অফিসে দেখা করতে বলেছেন। আমি আমার নিরপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন এবং উক্ত এলাকায় পুনরায় যাওয়া নিয়ে খুবই শঙ্কিত প্রকাশ করছি।


এ ব্যাপারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানান, আমরা আগামীকাল বিষয়টা দেখবো, আপাতত সাধারণ ডায়েরি করতে বলেছি।


তদন্ত কর্মকর্তার সাথে ও কাটাখালী থানার ওসির সাথে কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা কেউই ফোন ধরেননি।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024