শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি পরিণত হয়েছিলো অলিখিত ফাইনালে। গত কয়েক বছর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হওয়া মানেই যেন কোনো বিতর্কিত কিছু ঘটে যাওয়া।


শনিবার (৯ মার্চ) ম্যাচেও ঘটেছে এমনি এক দৃষ্টান্ত। লঙ্কান পেসার নুয়ান থুসারার বল মোকাবেলা করতে এসেই বোল্ড হয়ে গেলেন বাংলাদেশের ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। আউট হওয়ার পর উইকেট ছেড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই দেখা গেলো মেজাজ হারিয়ে ফেলেছেন হৃদয়। তেড়ে যাচ্ছিলেন কোনো এক লঙ্কান ক্রিকেটারের দিকে।


ফিল্ড আম্পায়ার তানভির আহমেদ, নন স্ট্রাইক ব্যাটার সৌম্য সরকার এবং অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে পানি নিয়ে যাওয়া তাইজুল ইসলাম তাওহিদকে ফেরান। এরপর আরও একবার তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন হৃদয়। শ্রীলঙ্কার কোনো এক ক্রিকেটার হৃদয়কে আপত্তিকর কিছু বলেছিলো, যে কারণে তিনি এমনটা করেছিলেন।


আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, আইসিসির চোখে তাওহিদ হৃদয়ের এমন আচরণ অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়েছে।


১০ মার্চ, রবিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি। শাস্তি হিসেবে হৃদয়ের ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।


ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের বিবৃতিতে জানায়, আচরণবিধি ২.২০ ধারা অনুযায়ী লঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাওহীদ বাদানুবাদে জড়ানোয় খেলার স্পিরিট নষ্ট হয়। জরিমানার সঙ্গে হৃদয়ের ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। গত ২৪ মাসে এটি তার প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট।


হৃদয়ের ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের দেয়া শাস্তি মেনে নেয়ায় এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি। মাঠের দুই আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত, তানভীর আহমেদ ও তৃতীয় আম্পায়ার গাজী সোহেল এই অভিযোগ আনেন হৃদয়ের বিরুদ্ধে।


তাওহিদ হৃদয় নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। যে কারণে নতুন করে শুনানির প্রয়োজন হয়নি। এই শাস্তির ঘোষণা দেন আইসিসি এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট। আর অভিযোগ আনেন অনফিল্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত, তানভির আহমেদ, থার্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল এবং ফোর্থ আম্পায়ার মাসুদুর রহমান।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024