রোজার প্রথম দিনে শসা ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। লেবু বিক্রি হয়েছে প্রতি পিস ১৫ টাকা দরে। তবে একদিনের ব্যাবধানে শসা৷ কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। লেবুর দামও বৃদ্ধি পেয়েছে প্রথম দিনের তুলনায়। গত বছরের তুলনায় ছোলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা বেশি দামে। ১১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজও ছোলা।


কক্সবাজারের সবচেয়ে ব্যস্ততম বাজার বড় বাজার। এই বাজারে পইকারি খুচরা পণ্য বিক্রি হয়। তবে প্রতিবছরের ন্যায় রমজানের শুরুতেই জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে।


সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, শসা এক লাফে ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, লেবু পিস ২০ টাকা। লেবু সাইজে বড়টা এক হালি ৮০ টাকা। সয়াবিন তেল কেজি ১৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।


বাহারছড়া বাজারে ইফতার সামগ্রী কিনতে এসেছেন রুবেল। তিনি জানিয়েছেন, গতকালও শসা কেজি ৭০ টাকায় কিনেছি। একদিনের ব্যবধানে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বড় লেবু বিক্রি হচ্ছে এক হালি ৮০ টাকা। প্রতি পিস ২০ টাকা করে। মাঝারি লেবুর দামও ১৫ টাকার উপরে। ১০ টাকার নিচে কোনও লেবু নেই।


শুধু বাহারছড়া বাজার নয়, কানাইয়া বাজারেও দেখা গেছে শসা কেজি ১০০ টাকা, কোন কোন দোকানে ৮০ টাকা, লেবুর দামও বেড়েছে পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, মাঝারি আকারের লেবু প্রতি পিস ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।


বড় বাজারে ইফতার সামগ্রী কিনতে আসা আবদুল্লাহ জানান, ১৩০ টাকা এক পিস নারকেল। মুড়ি কেজি ৭৫ টাকায় কিনেছেন। চিনি কিনেছেন ১৪০ টাকা দরে। আজকে প্রতিকেজি খোলা চিনি ১৪৫ টাকা এবং প্যাকেট চিনির কেজি ১৪৬ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কোন কোন দোকানে কেজি ১৪২ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে।


দিনের ব্যবধানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শসা লেবুর দাম


দেশের উৎপাদন দিয়েই চাহিদা মেটে লেবুর। আমদানির প্রশ্ন না থাকায় লেবুর সঙ্গে ডলারের দর বাড়ার সম্পর্ক নেই। তবু অস্বাভাবিক লেবুর দাম। ব্যবসায়ীরা বড় আকারের এক হালি লেবুর দর হাঁকছেন ৮০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস লেবু ২০ টাকা। তবে আকারে ছোট লেবুর পিস কেনা যাচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়। অবশ্য বড় বাজারে দু-এক টাকা কমে মিলছে। রমজান চলে আসায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়ে যায় লেবুর। এছাড়াও ইফতারির অন্যতম উপকরণ শসা। বাজারে এখন তিন ধরনের শসা পাওয়া যাচ্ছে। দেশি দুই ধরনের এবং একটি হাইব্রিড। হাইব্রিড শসার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, দেশি এক জাতের শসা ১১০ থেকে ১২০ এবং অন্যটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীর। অথচ ১০-১২ দিন আগেও দেশি ও হাইব্রিড দুই জাতের শসার কেজি কেনা গেছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।


বাড়তি পেঁয়াজ খেজুরের দামও


২০ টাকার নিচে নেই কোন খেজুর। শহরের বড় বাজারে ২৮০-৩০০ টাকার উপরে বেচা বিক্রি হচ্ছে খেজুর। শুধু রমজানে দরকার হয় ৫০ হাজার টন। তবে ডলারের দর বাড়ার পাশাপাশি এবার উচ্চ শুল্ক রয়েছে খেজুরে। নিম্ন আয়ের মানুষ সাধারণত জায়েদি খেজুর কেনেন। গত বছরের ১৪০ থেকে ১৬০ টাকার দরের সাধারণ মানের বা জায়েদি খেজুর এবার কিনতে হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। কেজি প্রতি কার্টনের খেজুর ৩০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। প্রতি কেজি ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১৩৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024