বরিশালে রমজানের শুরুতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ। সব প্রকার সবজির দাম উর্ধ্বমুখি। খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে সবজির দাম এখন ভোক্তার নাগালের বাইরে চলে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণ।প্যাকেটজাত আটা ৬৫ টাকা, মুশুরির ডাল ১২০ টাকা, ছোলার বুট ১০০ টাকা, মুগের ডাল ১৮০ টাকা, ডিম ৪০ টাকা হালি, সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা লিটার এবং খোলা তেল ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বৃহপতিবার (১৪ মার্চ) সরজমিন পোর্টরোড বাজার, নথুল্লাবাদ বাজার, রুপাতলী বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ভোক্তাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, শীত মৌসুমে সবজির দাম কম থাকলেও রমজান মাসের শুরুতেই সবকিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখি। বিশেষকরে দুধ, চিনি, ছোলা বুট ও ডাল, বেগুন, আলু, পেঁয়াজ ও মসলার মতো অনেক নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামে সীমাহীন কষ্টে স্বল্প আয়ের মানুষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্যের দর ওঠানামার বিষয়টি নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছিল, সে জন্য দাম একটু কম ছিল কিন্তু রোযা উপলক্ষ্যে সবকিছুর দাম ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিম ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, ফুলকপি পিস কেনা যাচ্ছে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, কাঁচামরিচের কেজি (বিন্দু) ১২০ টাকা। টমেটো ৪০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, ডায়মন্ড আলু ৩৫ টাকা, পেঁয়াজ ৯০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, আদা ২০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ২০ টাকা, হলুদ ২৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পুরল ৪০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, লতা ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, লেবু কেজি ১২০ টাকা, আধা ২০০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১২০ থেকে ২০০টাকা। খেজুর কেজি ৪০০ থেকে ১ হাজার অন্যদিকে চাল কেজি প্রতি কাটারি ৬৬ টাকা, ইন্ডিয়ান ৭৫ টাকা, ৪৯ চাউল ৫৫ টাকা, ২৯ চাউল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, বিআর (২৮) ৬৪ টাকা, বিআর (২৯) ৫৮ টাকা, কাটা চাল ৪২ টাকা, আতব ৪৮ টাকা, পোলাও ৯০ থেকে ১০০ টাকা।এদিকে মাংসের বাজারে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ২০০ টাকা, কক ৩২০ টাকা, লেয়ার কক ৩৫০ টাকা, ক্লাসিক (সোনালী) ৩২০ টাকা, কালার বাট ২৯০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা, খাসি ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছের বাজারে আগের তুলনায় তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি।
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন | সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান
© Deshchitro 2024