|
Date: 2024-03-16 12:03:09 |
চলছে পবিত্র মাহে রমজান। মুসলিম বিশ্বের সকল দেশে এই মাহে রমজানে দ্রব্যমূল্যে দেয়া হয় ছাড় যেন মুসলমানগণ সকল পণ্য সুলভে কিনতে পারে। অথচ আমাদের দেশে হচ্ছে উল্টো চিত্র। সারা বছর বাজারে কম বেশি একটু সামঞ্জস্যতা থাকলেও রমজানে হঠাৎ করেই যেন দ্রব্যমূল্যের বাজারে আগুন লাগে। সাধারণ মানুষের কাছে এক আতংকের নাম কাঁচাবাজার। কোনভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না দ্রব্যমূল্যের। শিবচর উপজেলার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে সাধারণ মানুষের মাঝে বিরাজমান চাপা বিরক্তি। জুয়েল নামের এক ব্যক্তি এসেছেন শেখপুর বাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে। কিছুক্ষণ বাজারে ঘুরে ঘর্মাক্ত দেহে আয় ব্যয়ের বাজেট মিলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। শুধু জুয়েল নন, এমন অবস্থা প্রায় সকল ক্রেতার। বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। মান ভেদে আলু প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা, পিয়াজ ৭০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, শসা ৭০-৭৫ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০-৮০ টাকা। এদিকে লেবু নিয়ে শুরু হয়েছে আর এক অবাস্তব পরিস্থিতি। রমজান আসতেই লেবুর হালি ৬০-৮০ টাকা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লেবু ব্যবসায়ী বলেন, পাইকারি পর্যায়ে লেবুর দাম বেড়ে যাওয়াতে খুচরা পর্যায়ে ও দাম বেড়েছে। কিন্তু দাম বাড়ার কোন নির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেন নি তিনি। তবে তিনি আশা করছেন অতি দ্রুত ই লেবুর দাম কমে যাবে।
কাঁচাবাজারের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফলের দাম। তরমুজ প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা, বরই ১০০-১২০ টাকা, পেয়ারা ৫০-৬০ টাকা, মান ভেদে খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০- ১৫০০ টাকা, আপেল আর কমলার দাম কিছুটা বেড়েছে। আপেল প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, কমলা ২০০-২৫০ টাকা। শিবচর বাজারে ফল কিনতে আসা এক ক্রেতা রাকিবুল হাসান জানান, ইফতারে কিছু ফল খেতে হয়। কিন্তু সকল প্রকার ফলের ই দাম অনেক বেশি। গরম পড়েনি, অথচ একটি তরমুজ কিনতে গেলে এখনি ৪০০ টাকা লাগে। কয়জন মানুষের সামর্থ্য আছে ৪০০ টাকা দিয়ে তরমুজ কেনার? রাকিব মনে করেন মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কঠোর হওয়া উচিত এবং সরকারের বেধে দেয়া মূল্য যেন সবাই মানে তা তদারকি করা দরকার। নইলে এদেশের মানুষ সামনে না খেয়ে মারা যাবে নয়তো চুরি করা শুরু করবে। অনেকেই অবশ্য মনে করেন এই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য অতি মুনাফা লোভী কিছু ব্যবসায়ী দায়ী। তারা সিন্ডিকেট করে অতি লাভের আশা করেন। আর এই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে হাঁস-ফাঁস করে সাধারণ মানুষ।
© Deshchitro 2024