|
Date: 2024-03-18 08:12:41 |
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের সিঙ্গেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিতর্কিত পূনরায় তফসিল বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন , দাতা সদস্য, অভিভাবক সদস্য, অভিভাবক ও সচেতন মহল।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১ টায় বিদ্যালয়ে মূল ফটকে পাড়েরহাট বাজারস্থ সিঙ্গেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সেই বিতর্কিত পূনরায় তফসিল বাতিলের দাবীতে প্রায় ছয় শতাধিক নারী পুরুষ, অভিভাবক সদস্য, অভিভাবক ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধন করেছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ১ নং অভিযোগকারী মানিক মিয়া মানববন্ধনে তার বক্তব্যে বলেন, সিঙ্গেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচনে একটি জবাবদিহিতা মূলক কমিটি আসবে আমি এটাই প্রত্যাশা করি কিন্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন তার মনগড়া সিদ্ধান্ত ও স্বেচ্ছাচারিতায় কারণে তা হচ্ছে না।জবাবদিহিতা না থাকায় এভাবে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তার পাতানো নির্বাচনে পূনরায় ভূয়া অভিভাবক ও দাতা সদস্যকে সভাপতি নির্বাচিত করার পায়তাঁরায় মেতে উঠেছে।
অপর এক অভিভাবক সদস্য ও ২ নং অভিযোগকারী দীনেশ চন্দ্র রায় বলেন, প্রধান শিক্ষকের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তার এহেন মানসিকতা দেখার পর আমরা সচেতন অভিভাবক গত ২২ ফেব্রুয়ারী -২৪ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ পত্র জমা দিলে তিনি আমলে নেন এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এটিএম নূরল আমিন শাহ্ কে তদন্তের নির্দেশনা দেন। গত ১২ মার্চ-২৪ তদন্তকারী কর্মকর্তা তার একক সিদ্ধান্তে অভিযোগকারীর উপস্থিতি ছাড়াই তদন্ত কার্য সম্পন্ন করেন।যার প্রেক্ষিতে গত ১৪ মার্চ পূনরায় তফসিল ঘোষণা করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুর রহীম মিয়া। যা সম্পূর্ণ আইনের পরিপস্থি।
কামারপুকুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক ও দাতা সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এলাকার সচেতন মানুষ হিসাবে আশা করি শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির সমন্বয়ে একটি জবাবদিহিতা মূলক কমিটি উপহার পাবো যাতে করে শিক্ষার গুনগত মান ও পরিবেশ ফিরে আসে কিন্ত তা না করে প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন নিজের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখার জন্য বার বার পাঁতানো নির্বাচন দিয়ে মনোনিত ব্যক্তিকে সভাপতি নির্বাচন করেন। আপনারা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দেখেছেন লিজা আকতার নামীয় একজন শিক্ষার্থীর ভূয়া অভিভাবক বানিয়ে নাজমুল ইসলাম কে সভাপতি নির্বাচিত করেন। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রায় অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য করেন।যাহা সংরক্ষণ আছে।
তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানের বৃহত্তর স্বার্থে এই পাতানো নির্বাচন স্থগিত করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন। অন্যথায় ঐতিহ্যবাহী সিঙ্গেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ মুখথুবরে পড়বে।
আর ও বক্তব্য রাখেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা গনেশ চন্দ্র রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমলা কান্ত রায়, মুক্তিযোদ্ধার প্রয়াত অশ্বনী কুমার রায়ের ছেলে ও অভিভাবক ধনঞ্জয় কুমার, অভিভাবক তরনী কান্ত রায়, দুলালী বেগম, সিরাজুল ইসলাম মিলু, এনামুল হক, অনিক চন্দ্র রায়, আশিকুর রহমান মিন্টু, লক্ষণ চন্দ্র রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সিঙ্গেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন'র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিপত্র অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। যে কোন অভিভাবক নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এতে বাধাঁ নাই এবং আমার কোন মনোনিত ব্যক্তি নাই।তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তহীন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এটিএম নূরল আমিন শাহ্ বলেন, তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় আমাকে তদন্তভার দেন। আমি সরেজমিনে তদন্ত করি তাদের অভিযোগের সাথে কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং অভিযোগকারী কে একাধিকবার ফোন করে ও সেখানে উপস্থিত পাওয়া যায় নাই।
উপজেলা যুব উন্নয়ন ও প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুর রহীম মিয়া বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আশিক রেজা বলেন, অভিভাবকের অভিযোগ মোতাবেক প্রথম তফসিল স্থগিত করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তিনি তদন্ত স্বাপেক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাছাড়া এটা সম্পূর্ণ শিক্ষা বোর্ডের বিষয়।
© Deshchitro 2024