সিরাজগঞ্জ শহরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এবং অলিগলিতে মার্কেটের সামনে বিদ্যুৎতের খুটিগুলোতে ঝুলছে বাদুড়ের মত তার, বিদ্যুৎতের তার এর সাথে মিশে গিয়েছে ডিস লাইন, ইন্টারনেট লাইনসহ কোম্পানির প্রায় ২০ টি সেবাদান প্রতিষ্ঠানের তার।

বোঝার উপায় নেই কোনটা বিদ্যুৎতের তার কোনটা ডিস এবং ইন্টারনেটের তার। বিভিন্ন জায়গায় ছিড়ে ঝুলে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে এই তার গুলো, অনেক সময় মানুষের মাথার সাথে লেগে যাচ্ছে আবার তারের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছে মানুষ, শুধু সরবরাহ লাইন নয়, ১১ হাজার হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনগুলোও রয়েছে বিপদজনকভাবে। অতিরিক্ত তারের ভারে হেলে পড়েছে অনেক পোল। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ব্যবসায়ীরা বলছেন বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানিগুলোর যেন দেখার কেউ নেই। দিন দিন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে পরিস্থিতি। দ্রুত সময়ে এর ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মুহূর্তে তার থেকে আগুন লাগতে পারে, তাছাড়া আমরা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকি কখন যে শর্টসার্কিট থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে।

আই এস পি এ বি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি এর সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন এই বিষয়ে নীতি মালা হচ্ছে নীতি মালার আলোকে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো তবে বিদ্যুৎ এর খুটি ব্যবহার করার অনুমোদন নবায়ন নেই দীর্ঘদিন ধরে।

সিরাজগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-পরিচালক আব্দুল মন্নান বলেন শহরের বিভিন্ন খুটিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনার জন্য অনেকাংশই দায়ী বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ঝুলন্ত ক্যাবলের জঞ্জাল। তাই পরিকল্পিত ভাবে তার ব্যবস্থাপনা না করা হলে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান।

শহরের মধ্যে অগোছালো তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অতিঃ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-০১ নেসকো পিএলসি, সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল ফারুক এবিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023