ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক কৃষকের ৪০টি আম গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাঁধা দেওয়ায় সাবানা খাতুন (৩০) নামের এক নারীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৩০ মার্চ) উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের নবগ্রাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় আহত ওই নারী শৈলকুপা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।


অভিযুক্তরা হলেন-নবগ্রাম গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে সেলিম, একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম তোতার ছেলে উজ্জল হোসেন এবং মৃত রহিম মন্ডলের ছেলে শওকত।


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবগ্রাম গ্রামের মন্টু হোসেনের বসতবাড়ির ১৫ শতক জমি নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জেরে অভিযুক্ত সেলিম, উজ্জল হোসেন ও শওকত গত ১৫ মার্চ (শুক্রবার) সকালে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মন্টু হোসেনের পুকুরের পাড়ে রোপন করা ৪০/৪২টি আম গাছ কেটে দেন। এরপর শনিবার (৩০মার্চ) সকালে অভিযুক্তরা ওই বাড়ির জমি ঘেরাও দেওয়াসহ বাঁধ কেটে পুকুর থেকে ২ মণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে নেন। এসময় মন্টু হোসেনের স্ত্রী সাবানা খাতুন বাঁধা দেওয়ায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।


আহত সাবিনা খাতুন বলেন, ‘গাছ কেটে দেওয়ার পর স্থানীয় সামাজিক মাতব্বরদের বিষয়টি জানানো হলে সালিশের মাধ্যমে মিমাংসা করার কথা থাকলেও শনিবার সকালে তারা পুকুরের মাছ ধরে নেন। এতে বাঁধা দিলে আমাকে মারধর করেন। আমি এর বিচার চাই।’


এদিকে অভিযুক্ত উজ্জল হোসেনের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সামনেই ওই আহত নারীকে হুমকি, অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।’

অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত সেলিম ও শওকতের বাড়িতে গেলে তাদের পাওয়া যায়নি।


শৈলকুপা থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) সাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024