বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরও ঘনীভূত হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ঝড়টি উপকূল থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। তাদের আশঙ্কা, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। 

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামসহ দেশের ১৯টি উপকূলীয় জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এসব জেলা এবং জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আশংকা করছেন  আবহাওয়া অফিস ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সাগর আরও বেশি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সঙ্কেত নামিয়ে সাত নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। 

এছাড়াও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোকেও ছয় নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে  ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর আঘাত থেকে রক্ষা ও  ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন।

বন্দর সূত্র জানায়, দুর্যোগ মোকাবিলায় বন্দরের গাইড লাইন অনুযায়ী সতর্কতা সংকেত বাড়ায়   জেটির জাহাজগুলো সোমবার  সকাল ৮ টা থেকে  বহির্নোঙরে  পাঠিয়ে দেওয়া  হচ্ছে।  একই সঙ্গে কিগ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ( আরটিজি)  ক্রেনসহ কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্টগুলো  চেইন বাইন্ডিং  করে  নিরাপদ হেফাজতে  রাখা হচ্ছে ।   কর্ণফুলী  নদীতে অবস্থানরত  লাইটারেজ জাহাজগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে  সরিয়ে নেওয়া  হয়েছে।   বন্দরের এক কর্মকর্তা  জানিয়েছেন, আবহাওয়া অধিদফতর দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৬ নম্বর বিপদ  সংকেত দেখাতে বলেছে। তাই বন্দরের গাইডলাইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া  হয়েছে। এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বন্দর চেয়ারম্যান ,  পরিচালক নিরাপত্তা ,  পরিচালক পরিবহন সহ উর্দ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024