পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে তরমুজ বিক্রেতারা বিভিন্ন হাট-বাজারে মিনি ট্রাকে তরমুজ নিয়ে ঘুরেও কিরে তার দেখা পাচ্ছেন না। এমনকি হ্যান্ড মাইকে ডেকেও ক্রেতাদের তরমুজের ট্রাকের কাছে ভেড়াতে পারছেন না। তরমুজের ভড়া মৌসুমে আশানুরূপ ক্রেতা না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা। ফলে তরমুজের ব্যবসায়ী লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কাও করেন তারা। সম্প্রতি তোরা দামে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করছিল ব্যবসায়ীরা। এতে জনসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরমুজকে বয়কট করার ঘোষণা দিয়ে নেটিজেনরা। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তরমুজকে বয়কট করে জনসাধারণ। মূলত সেই থেকেই তরমুজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে ক্রেতারা।   

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, ছোট ছোট ট্রাক ও ভ্যানের উপর তরমুজ উঁচু করে সাজিয়ে রেখেছে বিক্রেতারা। সেইসাথে হাতে হ্যান্ড মাইক নিয়ে ‘টকটকে লাল, মধুর মতো মিষ্টি ও দানাওয়ালা’ এমন লোভনীয় কথা বলে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টাও করছেন তারা। কিন্তু তাতেও ক্রেতারা তরমুজকে কিনতে সাড়া দিচ্ছেন না। একটি ছোট সাইজের তরমুজ ৫০-৬০ টাকা, মাঝারি ৮০-১০০ টাকা ও সবচেয়ে বড় সাইজের তরমুজ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তরমুজ ব্যবসায়ী দুলাল মৃধা বলেন, ‘তরমুজ বেশিদিন রাখা যায় না এবং তরমুজ কেনার জন্য মানুষের মাঝে তেমন আগ্রহও নাই। তাই বাধ্য হয়ে সামান্য লাভে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করছি।

তরমুজ কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘আগে বেশি দাম থাকায় তরমুজ ক্রয় করতে পারিনি। আজকে বাজারে তরমুজের দাম কম থাকায় মাঝারি সাইজের দুটি তরমুজ কিনেছি। এর আগে সাধারণ মানুষের দাবি, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোড়ালো থাকলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে থাকবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024