|
Date: 2024-04-09 11:37:14 |
ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের চোখেমুখে দেখা যায় আনন্দের চাপ। কিন্তু ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় সেই আনন্দ কিছুটা হলেও মাটি করে দেয়। তেমনি আজ ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী আন্তঃনগর কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই ট্রেনে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসা যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার (৮ এপ্রিল ) রাত সাড়ে দশটায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের। কিন্তু রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ( রাত ১১ টা ৩৮ মিনিট) এই ট্রেন তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে পারেনি। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই ট্রেনে ভ্রমণে আসা যাত্রীরা।
রশিদ নামে একযাত্রী বলেন, এভাবে মানুষের হাজার হাজার কর্মঘন্টা নষ্ট হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত সঠিক সময়ে যাতে ট্রেন ছাড়ে সেদিকে নজর রাখা,”
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ নামের এক যাত্রী বলেন, “খুবই বিরক্ত লাগছে। নতুন ট্রেন অথচ অবস্থা এরকম এটা ভাবতেই পারিনি। সেই প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতেছি। এটা কর্তৃপক্ষের বিশেষভাবে নজরে রাখা উচিত।’’
মোহাম্মদ কুদ্দুস আলী তার স্ত্রী ও ছোট মেয়ে নিয়ে এসেছেন এই ট্রেনে করে কক্সবাজার ভ্রমণে যাবেন। রাত নয়টায় রাজধানীর আজিমপুর থেকে রওয়ানা দিয়ে স্টেশনে পৌঁছেছেন রাত দশটায়। তিনি জানান, “ আসলে কি আর বলবো ভাই। অপেক্ষা করা পৃথিবীর সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ। সেই এক ঘণ্টা ধরে দুই বাচ্চা নিয়ে অপেক্ষা করতেছি। নতুন ট্রেন হয়ে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে বাকিগুলোর কি অবস্থা? পরিবারের সাথে ঈদ করতে গ্রামে যাচ্ছি। তবে ঈদের সময় এরকমই হয়, তাই মেনে নিয়েছি"
কক্সবাজার এক্সপ্রেসের স্টুয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা তৌসিফ আহমদ জানান, আমাদের কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় মূলত সিডিউল বিপর্যয়। ১০ টায় ট্রেন প্লাটফর্মে পৌঁছে। এরপর রিজার্ভ ট্যাংকে পানি নেওয়া ও ট্রেনের বগিগুলো পরিষ্কার করতে সময় লেগে যায়। "
উল্লেখ্য, গতবছরের ১ ডিসেম্বর থেকে বিরতিহীন 'কক্সবাজার এক্সপ্রেস' চলাচলের মধ্যে দিয়ে রুটটিতে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু করে রেলওয়ে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৩৪৬ কিলোমিটার। এ রুটে বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেনের শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) চেয়ারের (স্নিগ্ধা) ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা।
© Deshchitro 2024