মার্চের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ ২৯ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের নিচে নেমে আসে। এরপর বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার ধার করে রিজার্ভ বাড়িয়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। পরে তা আবার নিচে নেমে আসে।


গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ১৯ বিলিয়নের ঘরে থাকার পর অবশেষে বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বিপিএম-৬ মেথডের ভিত্তিতে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘরে অবস্থান করছে।


৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।


প্রতিবেদন অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ এখন ২৫ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৩৮ কোটি ডলার। গেল ৪ এপ্রিল যা ছিল ২৫ দশমিক ২৯ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৫২৯ কোটি ডলার ডলার। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব পদ্ধতির হিসাবে।


এছাড়াও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ মেথডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী বর্তমানে গ্রস রিজার্ভ ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন বা দুই হাজার ১০ কোটি ডলার। যা গেল ৪ এপ্রিল ছিল ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন বা এক হাজার ৯৯৬ কোটি ডলার। সে হিসেবে বেড়েছে ১৪ কোটি ডলার।


এর আগে গেল মার্চ মাসের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৬৩৪ কোটি মার্কিন ডলার। গত ২৭ মার্চ এই রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় দুই হাজার ৪৮১ কোটি ডলারে। বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ নেমে দাঁড়ায় এক হাজার ৯৪৫ কোটি ডলারে। যা ৬ মার্চ ছিল দুই হাজার ১১৫ কোটি ডলারে। অর্থাৎ মার্চ মাসের শেষে ২১ দিনে গ্রস রিজার্ভ কমে ১৫২ কোটি ডলার (১ দশমিক ৫২ বিলিয়ন) এবং বিপিএম-৬ কমে ১৬৯ কোটি ডলার (১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন)।


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছায়। ওই বছর ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে। এরপর তা বেড়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের রিজার্ভ রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট। ওইদিন রিজার্ভ ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার বা চার হাজার ৮০৪ কোটি ডলারে উঠে যায়। এরপর ডলার সংকটে গত বছর থেকে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024