জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে আজ

বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পঞ্চপীর, বনগ্রাম, উচ্চ গ্রাম ও বলার দিয়ার দক্ষিণ পাড়া গ্রামে ৪শতাধিক নারী-পুরুষ এ নামাজ আদায় করেন।

এতে পৌরসভার বাউসী পঞ্চপীর গ্রামে আবুল কাশেম,বনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে মাহফুজুর রহমান ,উচ্চগ্রাম দক্ষিণ পাড়া মসজিদের সামনে আব্দুর রাজ্জাক ও বলার দিয়ার দক্ষিণ পাড়া গ্রামে মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার ইমামতি করেন।

ইমাম মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার জানান,প্রায় দুই যুগ ধরে উপজেলার শত শত মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছেন। আমরা সব বিষয়ে সৌদি আরবকে অনুসরণ করি।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান জানান, প্রতিবছরই এ উপজেলায় একদিন আগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এলাকাবাসী  সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার পশ্চিম  বলারদিয়ার আজিম উদ্দিন মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদ মাঠে প্রতি বছরের ন্যায়  আজ বুধবার ১০ এপ্রিল বলারদিয়ার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিম উদ্দিন ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এতে সরিষাবাড়ী উপজেলার বলারদিয়ার, মুলবাড়ী, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, বনগ্রাম, বালিয়া, বাউসী, হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুঠিয়ারপাড় ও বগারপাড় গ্রাম কতিপয় লোকজন একএিত হয়ে  ঈদের নামাজ আদায় করেন।

মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার  জানান, আমরা ২০০৫ সাল সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকি।

তিনি বলেন, এই নামাজ নিয়ে অনেকের মাঝে মতপার্থক্য থাকলেও কোরআন-হাদিসের সঠিক নির্দেশনা মোতাবেক সালাত আদায় করা হয়েছে 

তবে এই নামাজ নিয়ে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মাদ নাজমুল হুদা ফয়জী। তিনি   বলেন, যারা কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াস মানে না তারাই এ সমস্ত বিভ্রান্তিকর কাজ করে চলেছেন।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024