টানা সপ্তাহখানেক তাপপ্রবাহে জনজীবন হয়ে উঠেছে অতিষ্ঠ। দিনে যাদের কাজ ঘরের বাইরে, তাদের যেন একবারেই জবুথবু অবস্থা। তাপপ্রবাহের কারণে তাদের আয়-উপার্জনেও পড়েছে ভাটা এমনটাই বলছেন সিএনজি চালক মোহাম্মদ ইদ্রীস। সকাল ১১ টা, কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় টমটম চালক ইলিয়াছ মিয়া বলছিলেন, গরমে লোকজন নেই, মালিককে দৈনিক যে ভাড়ার টাকা দিতে হবে তাও উঠবে না আজ।

অন্যদিকে তীব্র দাবদাহে কক্সবাজারে আসা পর্যটকরাও পড়েছে বিপাকে। তীব্র গরম বাধাঁ হয়ে দাড়িয়েছে ভ্রমণে এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে আসা পর্যটক সারওয়ার আলম।

বিগত বছরগুলোতে মাঝে মধ্যে সামান্য বৃষ্টি ও বৈশাখী ঝড়ের দেখা মিললেও এবার তেমন ঝড়-বৃষ্টির দেখা নেই।দেশে টানা কয়েকদিন যাবৎ চলা অসহনীয় তাপপ্রবাহের মধ্যে নববর্ষের দ্বিতীয় দিনেও অধিক তেজ দেখিয়েছে সূর্য।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জমিয়েছেন, গরমের এই দশা থেকে আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত  মিলবে না মুক্তি । কক্সবাজার আবহাওয়া দপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান জানান, ১৮ তারিখ পর্যন্ত থাকবে এমন তাপদাহ, ১৮ তারিখের পরে হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি জানান।

তাপদাহের এই সময়ে হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের কথা জানান কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শাহাজাহান নাজির।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে কক্সবাজারে। এছাড়াও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাঙামাটিতে, সীতাকুণ্ডে ৩৯ দশমিক ৭, পটুয়াখালীতে ৩৯, বান্দরবান ও চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ দশমিক ৮, রাজশাহী ও কুষ্টিয়াতে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023