আমীরের জন্য একসাথে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট খুঁজছেন, যা দৃষ্টি গোচর ও রহস্য জনক। এটা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীকে ভোটের মাঠে ডুবানোর একটি অপকৌশল ও ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে তারা অনেকেই মনে করেন!


তৃণমূল ও ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই নেতা খায়রুল আলম চৌধুরীর বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করতে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদার প্রতি অনুরোধ জানান।


এ ব্যাপারে মন্তব্য জানার জন্য খাইরুল আলম চৌধুরীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিএনপি নেতার সমর্থন চাওয়ার বিষয়টি লজ্জাকর ও নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সাবেক সভাপতি। আওয়ামী লীগ, জামায়াত ইসলামী ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর জন্য একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এক মন্ঞে ভোট চাইবেন অথবা বক্তব্য রাখবেন সেটা আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা কর্মীরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারতেছে না।


তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে সারা দেশে আওয়ামী লীগের বিশাল ভোট ব্যাংক তৈরি হয়েছে। তাছাড়া জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীও বিশাল ভোট ব্যাংক ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছেন উখিয়া উপজেলায়। পাশাপাশি তিনি টানা ৩ বার সরাসরি ভোটে নির্বাচিত রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাছাড়াও তিনি উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি। হেভিওয়েট একজন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীকে ভোটের জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া নেতার কাছে ভোটের জন্য যাওয়ার ও ভোটের জন্য ধর্ণা দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই, সাধারণ মানুষের ভোটে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীরা এমনিতেই বিপুল ভোটে জিতবে।


উল্লেখ্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী এক যুগেরও বেশি সময় ধরে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের টানা সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি। দলের মনোনীত প্রার্থী হয়ে ও নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি টানা ৩ বার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পক্ষান্তরে সম্ভাব্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা আবুল ফজল উখিয়া উপজেলা জামায়াত ইসলামী একজন বর্তমান আমীর ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিন আক্তার বিএনপি’র সমর্থন নিয়ে ইতিপূর্বে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন ( তৎকালীন সময়ে শাহিন আক্তারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী খোরশেদা করিম)।


তিন প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সমর্থিত তিন প্রার্থীকে নিয়ে নিজস্ব অঘোষিত প্যানেল সৃষ্টির মাধ্যমে ভোটের মাঠে কাজ করছেন রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আলোচিত-সমালোচিত খায়রুল আলম চৌধুরী। এতে বেকায়দায় পড়ে গেছেন আওয়ামী লীগ, জামায়াত ইসলামী ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ও তাদের স্ব স্ব দলের সিনিয়র জুনিয়র নেতা-কর্মীরা এবং সমর্থকরা।


এই ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা জানান, খায়রুল আলম চৌধুরী আওয়ামী লীগের কোন পদে নেই। তাই তিনি কোথায় কি বক্তব্য রাখলেন বা কোন প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন সেটা তার একান্তই বিষয়। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা আবুল ফজল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিন আক্তার আমাদের দলের মনোনীত বা সমর্থিত কেউ নয়। তাদের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কোন সৈনিক বা নেতা-কর্মী ভোট চাইতে পারেন না।


এদিকে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী পৃথক এক বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে রাজনৈতিক আমেজে এটাই স্বাভাবিক, তবে সেটি যেনো শিষ্টাচার বহির্ভূত না হয় এমনটাই কাম্য।


জনপ্রিয়তা ঈর্ষার সৃষ্টি করে, ঈর্ষা থেকে ছড়ায় অবান্তর প্রলাপ। প্রত্যাশা, এসব প্রলাপ কিংবা অপ্রাসঙ্গিক আলোচনায় আমাকে ভালোবাসা দেওয়া উখিয়ার লাখো মানুষ কখনো বিভ্রান্ত হবে না।


আমি সবসময় গণমাধ্যমে কর্মরতদের সম্মান এবং মর্যাদায় বিশ্বাসী। আমার মন্তব্য ব্যতিত একটি সংবাদ দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যেটির প্রেক্ষাপটে আমাকে রাখা হয়েছে যা আসলে অপ্রত্যাশিত।


সংবাদ পরিবেশনে আলোচ্য বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য নেওয়া সাংবাদিকতার নীতি অনুযায়ী বাঞ্চনীয়, আশা করছি এক্ষেত্রে গণমাধ্যম ভবিষ্যতে সতর্কতা এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024