|
Date: 2024-04-22 07:46:35 |
২০১৯ সালের মার্চে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উখিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন কামরুন্নেচ্ছা বেবী।
উখিয়া উপজেলা পরিষদের সরকারি ওয়েবসাইট (www.ukhiya.cox’sbazar.gov.bd) এ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পরিচিতিতে বেবীর ছবি ও ফোন নং ব্যবহার করা হলেও নামের স্থলে লেখা হয়েছে ছেনুয়ারা বেগম যিনি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন।
অবশেষে পাঁচ বছর পর দৃষ্টিকটু এই ভুলের সংশোধন করা হয়েছে পাঁচ মিনিটেই। এপ্রসঙ্গে তথ্য সংগ্রহ করার পরোক্ষণে দেখা যায় বেবীর নাম সেখানে সংযুক্ত করা হয়েছে, তবে সেটি বাংলা নয় ইংরেজিতে!
এছাডাও ওয়েবসাইটে প্রাক্তন ইউএনওদের নামের তালিকায় ২০১৫ সালের পর থেকে আর কারো নাম নেই।
পূর্বতন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গণের তালিকায় শুধুমাত্র ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ীদের নাম লেখা হয়েছে।
অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা শীর্ষক একটি ম্যানু থাকলেও সেখানে নেই কিছুই,একইভাবে অসম্পূর্ণ এবং অসংগতির দেখা মিলেছে ওয়েবসাইটের অনেক অংশে।
“এক নজরে উখিয়া”য় একটি পিডিএফ ফাইল সংযুক্ত করা থাকলেও যেখানে অনেক তথ্য পুরোনো, করা হয়নি হালনাগাদ।
সরকারি ওয়েবসাইটের এমন বেহালদশা প্রসঙ্গে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, ” আমি এসেছি চার মাস হলো, ধন্যবাদ আপনি জানিয়েছেন ভুল গুলো সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাধ্যমে দেশের সরকারি ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণ এবং তদারকি করা হয়। উপজেলা পর্যায়ে এই বিভাগের আওতায় রয়েছে সহকারী প্রোগ্রামার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, উখিয়ার মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রোগ্রামার নেই আবার তিনি প্রশিক্ষণ জনিত কারণে দেশের বাইরে আছেন এমন তথ্যও মিলেছে।
প্রকৃত পক্ষে তার খোঁজ না মিললেও উখিয়া সহ কক্সবাজারের ৫ উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী প্রোগ্রামার মোহাম্মদ রমজান আলী।
মুঠোফোনে তিনি জানান, ” ভুল গুলো পরিবর্তন করা হবে একই সাথে ইউএনও অফিস এবং উপজেলা পরিষদে যেসব তথ্য আছে সেগুলো লিপিবদ্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিবো। ”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে একটি তথ্যবহুল এবং ত্রুটি মুক্ত সরকারী ওয়েবসাইটের বিকল্প নেই বলে অভিমত স্থানীয়দের।
© Deshchitro 2024