সিরাজগঞ্জে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এর আওতায় জেলেদেরকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে-১৮জন জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করার আগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

 বৃহস্পতিবার (২৫এপ্রিল) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মৎস্য বিভাগ ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলে পরিবার বেকার থাকায় বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসাবে গরু (বকনা বাছুর) সদর  উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নদীর নিকটবর্তী নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে অক্ষত, স্বাস্থ্যবান ও দেশি প্রজাতির গরু (বকনা বাছুর) ৭-১০ মাস বয়সি ৪০-৫০ কেজি ওজনের বকনা বাছুর১৮জন মৎস্য জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহীনুর রহমান, অনুষ্ঠানে 

 অনুষ্ঠানে  সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন  সিরাজগঞ্জ- সদর ও  কামারখন্দ ২  আসনের  জাতীয় সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার  হেনরী । 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী তিনি তার বক্তব্যে বলেন– মা ইলিশ মাছ সম্পদ রক্ষায় দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সহায়তা দিচ্ছে। আপনারা ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। বিধান অমান্য করে জাটকা ধরবেন না। আর মনে রাখবেন এই বকনা বাছুর গরু কেউ বিক্রি করবেন না বা অন্যস্থানে হস্তান্তর করবেন না, ভালোভাবে পালন করতে গরুর যত্ন নিবেন। নিকটস্থ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যোগাযোগ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। এ গরু দেওয়া হচ্ছে আপনার ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। মৎস কর্মকর্তা শাহিনুর রজমান বলেন, ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলে পরিবার বেকার থাকায় বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসাবে গরু (বকনা বাছুর) বিতরন করা হয়েছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023