দেশের অন্যসব অঞ্চলের মতো রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুরেও গত কয়েক দিন ধরে তীব্র তাপ দাহ চলছে। জেলার সর্বত্রই মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা বিরাজ করায় চরম দুর্ভোগে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এ শিল্পাঞ্চলের নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া নির্মাণ শ্রমিক, স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক, অটোরিকশা, ভ্যান চালকসহ খেটে খাওয়া  পেশাজীবি মানুষের। 

তীব্র তাপ দাহের কারণে সাধারণ মানুষের জীবন হয়ে যাচ্ছে অতিষ্ঠ। যার ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তীব্র গরমে কাজ কর্ম করতে হচ্ছে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই তীব্র গরমে হতে পারে হিট স্টোক তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ খেতে হবে বেশি করে লেবুর শরবত, খাবার সেলাইন সাথে রাখতে হবে ছাতা পকেটে রাখতে হবে ইলেকট্রনিক ছোট ফ্যান।  

এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনের বেলা প্রখর রোদ্র আর রাতের বেলা লোডশেডিং  সবকিছু মিলিয়ে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছেন। এদিকে বিদ্যুৎ ঠিক মতো না থাকায় বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে আছেন সাধারণ মানুষ। তাই এই তীব্র দাহ থেকে বাঁচতে আল্লাহর নিকট তাওবা করে মাফ চাওয়ার কথা বলছেন উলামায়ে কেরামগন। 

আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া জান্নাতুল আতফাল মাদ্রাসার  ইফতা বিভাগের প্রধান, এবং গিলাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঈদগাহ মাঠের ইমাম হযরত মাওলানা মুফতি জুনায়েদ আহমেদ সাহিদী বলেন, প্রচণ্ড গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে এবং দুর্ভোগ নেমে এসেছে জনজীবনে। গরমে বাড়ছে জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানান রোগ। গরম প্রসঙ্গে হাদিসে বলা আছে,  হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো (বোখারি,হাদিস:  ৩২৬০) তাই এই তীব্র গরমে মহান আল্লাহর রহমতে দোয়া করতে থাকা, এবং আল্লাহর আজাব থেকে মুক্তির প্রার্থনা করতে হবে বলে জানান এই আলেম।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023