|
Date: 2024-04-28 10:36:18 |
কাঠফাটা রোদে দুঃসহ হয়ে উঠেছে অভয়নগরের জনজীবন।
যশোরের ওপর দিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে জেলার অন্যান্য মানুষের মতো অভয়নগরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ । প্রচন্ড রোদে দুঃসহ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
প্রচণ্ড দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পুড়ছে প্রায় গোটা দেশ। প্রচণ্ড গরমে-ঘামে হাঁপাচ্ছে মানুষ। ঘরে-বাইরে প্রশান্তি নেই কোথাও। কোনো কোনো জেলায় তাপমাত্রার পারদ ৪১ ডিগ্রিতে পৌঁছালেও তপ্ত অনুভূত হচ্ছে অনেক বেশি। বাতাসের আর্দ্রতার আধিক্যে ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস দশা। বহু জনপদে থমকে গেছে স্বাভাবিক জনজীবন। হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকুল। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ গৃহ আবাসের বাইরে যাচ্ছেন না। রাস্তাঘাট সড়কে পিচ গলছে। নিদাঘের মধ্যাহ্ন সূর্য যেন প্রকৃতিতে তরল আগুন ঢালছে। প্রতিদিন বাড়ছে উষ্ণতা। তীর্যক সূর্যের অসহনীয় তাতানো তাপের কারণে জনশূন্য হচ্ছে শহর-নগর-পল্লিপথ। মধ্যাহ্নে বাতাস নেই। ঝাঁ ঝাঁ করছে চারিদিক। পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে গত এক সপ্তাহ টানা তাপপ্রবাহ মাঝারি থেকে তীব্র, তীব্র থেকে আরও তীব্রতর হচ্ছে।
গত কয়েকদিন দিন ধরেই যশোরসহ খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর উপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। এ মৌসুমে সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে তাপমাত্রা। তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও কর্মজীবীদেরহাসফাস অবস্থা। তারপরও জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটতে হচ্ছে তাদের। তাই ক্লান্তি কাটাতে মাঝে মাঝে গাছের তলায় জিড়িয়ে নিচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ সরবত কিনে তৃষ্ণা নিবারণের চেষ্টা করছেন। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সড়কের বিভিন্ন যানবাহন চলাচল কমে যায়।
এদিকে এই গরমে শ্রমজীবীদের মাঝে প্রাণসঞ্চার ফেরাতে মোড়ে বুথ খুলে স্যালাইন পানি বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।সেখানে তৃষ্ণা নিবারণ করতে পেরে খুশি পথচারী ও শ্রমজীবীরা। দুপুরে এক কৃষক বলেন, আমার জীবনে এমন তাপ আর দেখিনি, রাস্তায় ভ্যানচালকের হাতে হাতপাখা নিতে দেখা যায় ইস রাস্তায় পা দেয়ার উপায় নেই মুখ ঝলসে যাচ্ছে পিচের দাপে, এমনিই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভয়নগরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ।
© Deshchitro 2024