আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদে এক মেম্বরের বিরুদ্ধে জীবিত মহিলার ওয়ারেশ কায়েম সনদ পত্র প্রদানর অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের অভিযোগ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডর বৈকরঝুটি গ্রামের সাবেক বাসিন্দা মৃত সুনীল সিংহ এর স্ত্রী রিনা রানী সিংহ কয়েক বছর ধরে ভারতে তার একমাত্র ছেলে বিকাশ সিংহর বাসায় বসবাস করছেন। তার ৬টি মেয়ের (চুমকি রানী, মল্লিকা রানী, টুলু রানী, গঙ্গা রানী, যমুনা রানী ও সীমা রানী) সব কয়টিই ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয় বসবাস করছেন। কিন্তু তাকে মৃত দেখিয়ে বোনদের বাদ দিয়ে ছেলে বিকাশকে তার একমাত্র ওয়ারেশ দখিয়ে সনদ পত্র প্রদান করেছেন ওই ওয়ার্ডর মম্বর আজিজুল রহমান। গত ২০ নভম্বর ২০২৩ তারিখ পরিষদের ৬৪২/২৩ নং স্মারকে তিনি এ ওয়ারেশ কায়েম সনদ প্রদান করেন। হিন্দু ধর্মের বিধান অনুযায়ী মায়ের ওয়ারেশ ছিল মেয়েছেলে উভয়। কিন্তু মেম্বর তার তোয়াক্কা করেননি বলে অভিযাগ করেছেন স্থানীয়রা। এছাড়া বিকাশের কান জন্ম সনদ এবং তার মা রিনা রানীর কান মৃত্যু সনদ ইউনিয়ন পরিষদের রজিষ্টারে নেই বলে প্রত্যয়ন দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদর চেয়ারম্যান মাও. আবু বক্কর সিদ্দিক। 

এ ব্যাপার চেয়ারম্যান এ প্রতিবদককে জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। মেম্বরকে বললে তিনি প্রথমে বলেন আমার সিল হারিয়ে গেছে ওটা আমার স্বাক্ষর না। এখন বলছেন আমার স্বাক্ষর। রিনা সিংহর নাম পরিষদের রজিস্টার কোন মত্যু সনদ লিপিবদ্ধ করা হয়নি। মেম্বর আজিজুল রহমান জানান, কেউ যদি তার মাকে মৃত বলে সনদ চাইতে পারে তবে আমাদের দিতে অসুবিধা কি? ওয়ারেশ কায়েমের বিরুদ্ধে যদি তার কোন মেয়ে অভিযোগ করন তখন দেখা যাবে। 
রিনা রানীর জীবিত থাকার বিষয় প্রত্যক্ষদর্শী বৈকরঝুটি গ্রামের মৃত গহর আলী গাজীর ছেলে আবু তালব গাজী জানান, চিকিৎসা সেবা নিতে আমাকে প্রায়ই ভারতে যেতে হয়। রিনা রানী এখন ভারতর পশ্চিমবঙ্গের দমদম এর নিউ ব্যারাকপুর বি.টি কলজ সংলগ্ন ৩নং ব্লক তার ছেলের বাড়িতে বসবাস করেন। আমাদর প্রতিবেশি এবং জানাশোনা থাকায় ভারত গেলে আমি বরাবরই তার বাড়িতে অবস্থান করি। গোদাড়া গ্রামর মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে ফেরদৌস হোসেন বলন কয়েক দিন আগেও ম্যাসেঞ্জারে কল করে তার মায়ের খোঁজ নিয়েছি। সে জানিয়েছে তার মা ভালা আছেন। বাটরা গ্রামর আক্তার হাসান ফারুক বলন, বিকাশ সিংহ মা ও বোনদের নিয়ে বেড়াত যাওয়ার ছবি তার ফেসবুক পোস্ট করতে দখা যায়। মেম্বর একজন জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে কি জন্য সনদ প্রদান করলেন আমাদের বোধগম্য না।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024