মোঃ আজগার আলী, সদর উপজেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা: 

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে রসুন আমদানি কমেছে। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে সরবরাহ কমে যাওয়ার পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আমদানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অন্তত আড়াই হাজার টন কম হয়েছে।


অন্যদিকে বন্দর দিয়ে আমদানি কমে যাওয়ার স্থানীয় বাজারে রসুনের দাম বেড়েছে। আজ সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি মসলার আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে মসলাপণ্যটি কেজি প্রতি ২০-২৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।


ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে রসুন আমদানি হয়েছে ১৩ হাজার ১৯৮ টন, যার মূল্য ২০৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময় আমদানি হয়েছিল ১৫ হাজার ৮৩৭ টন। এর মূল্য ছিল ২৩৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সে হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এ বন্দর দিয়ে রসুন আমদানি কমেছে ২ হাজার ৬৩৯ টন।


ভোমরা বন্দরের অন্যতম মসলা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ আবু হাসান জানান, সম্প্রতি তার প্রতিষ্ঠানের রসুন আমদানি কমেছে। গত অর্থবছরের এ সময়ের তুলনায় বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে রসুন আমদানি কমেছে অন্তত ৫৫-৬০ শতাংশ। আমদানি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ভারতের বাজারে রসুন সরবরাহ যেমন কম, তেমনি দামও চড়া।’


সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারে আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার খুচরা পর্যায়ে রসুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৮০-১৮৫ টাকায়। এক মাস আগেও বিক্রি হয়েছিল ১৫০-১৫৫ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ অপ্রতুল হওয়ায় দাম বাড়ছে রসুনের।


সাতক্ষীরা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ বলেন, বন্দরে আমদানি কমে যাওয়ায় রসুনের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে কোনো ব্যবসায়ী যাতে অতিরিক্ত মুনাফা না করেন সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024