ভোটারদের মনে আতঙ্ক জানালেন কালুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেন।


রাজবাড়ী জেলায় দুইটি উপজেলায় ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে। পাংশা ও কালুখালী উপজেলায় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সকালে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে জানায় নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। রাজবাড়ীর  দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (নারী ও পুরুষ) মিলে মোট ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে।  

তবে ইতিমধ্যেই কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: এনায়েত হোসেন সাংবাদিকদের কাছে ভোটারদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত প্রকাশ করেছেন।

কালুখালীর মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা যেনো আসতে না পারে সেজন্য ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে 

আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলীউজ্জামান চৌধুরী টিটোর বিরুদ্ধে। এবং কেন্দ্রের পাশে খালেক এর বাড়ীর সামনে আঞ্চলিক সড়কে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখায় সংঘবদ্ধ কয়েক জন যুবক। তবে ভয়ভীতি না দেখালে ভোট কেন্দ্রে আরো ভোটার উপস্থিতি বাড়তো বলে মনে করছেন অনেকেই।

কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: এনায়েত হোসেন  জানান, নির্বাচনের অবস্থা কেন্দ্রে সুষ্ঠু কিন্তুু রাস্তাঘাটে ভোটারদের ডিস্টার্ব করা হচ্ছে। ভোটাররা যেনো তাদের ভোট প্রয়োগ করতে না পারে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে বলেছি এ বিষয়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন আসে তখন কেউ ভোটারদের ডিস্টার্ব করে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলে গেলেই আবার ভোটাররা যেনো ভোট দিতে না পারে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। আমি মোটরসাইকেল প্রতীকে কালুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি। এবং আমার বিপক্ষে কাজ করছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলীউজ্জামান চৌধুরী টিটো। এ পর্যন্ত আমার মনে হচ্ছে আমি জয়ি হবো। সুষ্ঠু নির্বাচন যদি হয় এবং ৪ টা পর্যন্ত ভোটাররা ভোট দিতে পারে নিশ্চিত আমি জয়ি হবো। আমি এ বিষয়টি কালুখালী থানার ওসি কে জানিয়েছি ও র‍্যাবের অফিসারকে বলেছি। ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে। এলাকায় প্রশাসনের নজর দিতে হবে যাতে ভোটাররা ভোট দিতে আসতে পারে। সে ব্যাপারে আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।

বিশ্বস্ত সুত্র  জানায়, কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: এনায়েত হোসেন, কালুখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ও তার নিজের এলাকা, মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র হওয়ায় এখানে ভোট শুরুর পর থেকেই উৎসব মুখোর পরিবেশে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে শুরু করে। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারস প্রতীকের সমর্থকরা ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখায় যেনো ভোট কেন্দ্রে আসতে না পারে ভোটাররা।

স্থানীয় আলেয়া বেগম নামে এক নারী বলেন, মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে আমি ভোট দিতে আসার সময় কয়েকজন যুবক ছেলে আমাকে ভোট দিতে আসতে নিষেধ করেছেন। এতো দিন পর ভোট আমরা আন্দের সাথে দিতে চাই তারপরও এতো ভয়ভীতি। আমরা আতংকে আছি।

আরেক নারী কহিনুর আক্তার নামে এক নারী  বলেন, ভোট দিতে এসেছি কিন্তুু ভোটার সিলিপ পাইনি। ভোটার সিলিপ নিতে গেলে কয়েকজন যুবক ভোট দিতে নিষেধ করেন। এবং বলেন ভোট দেওয়ার কোন দরকার নাই। 

এছাড়াও একাধিক নারীরা  জানায়, ভোট কেন্দ্রে যেনো না আসতে পারি সেজন্যই আনারস প্রতীকের লোকজন পথে পথে বাধা সৃষ্টি করছেন। এবং নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন যেনো ভোট দিতে আসতে না পারি। আমরা আতংকে আছি। ভোট দিতে গেলে আমাদের কে মারার হুমকি প্রদান করে কয়েকজন যুবক তারা সকলেই আনারস প্রতীকের সমর্থক। পরে পুলিশ পাহারায় আমরা ভোটকেন্দ্রে এসেছি এবং ভোট দিয়েছি তবে এ ঘটনায় আমরা খুব ভয়ে আছি।

এ ব্যাপারে কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)

মোঃ আলমগীর হোসাইন জানান, এই ঘটনাটি আমি শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে এসেছি। এই এলাকায় দুই একজন দুষ্ট লোকজন আছেন। তারাই মূলত এ কাজ গুলো করছে। তবে এখানে প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ভোটাররা সুন্দর ভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারবে সেজন্যই আমরা বিশেষ ভাবে নিরাপত্তা জোরদার করেছি।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024