সিরাজগঞ্জে আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্প,  সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার বিষয়ক কর্মশালা সরকারী কর্মকর্তা, আইনজীবী,  সুশিলসমাজ,  সূধীজন, এনজিও গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১৮ মে) বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একে শহিদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে 

আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি, আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এ কর্মশালা আয়োজন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে কর্মশালা শুরুতে স্বাগত  বক্তব্য রাখেন আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) মোহাম্মদ আবু কাউছার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালা দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ( রুটিন দায়িত্ব) সচিব ড. হাফিজ আহমেদ। 

কর্মশালা প্রধান অতিথি লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ( রুটিন দায়িত্ব)  সচিব ড. হাফিজ আহমেদ তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইনের কোনো কমতি নেই। কিন্তু আইন সম্পর্কে সচেতনতার অভাব প্রকট। এতে সঠিক আইনের অনুশীলন এবং প্রয়োগ আশানুরূপ নয়। অথচ আইনের যথাযথ অনুশীলন ও অনুসরণ হলে মানুষ সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার পাবে। সমাজ তাতে আলোকিত হবে। রাষ্ট্র তাতে পূর্ণাঙ্গতা লাভ করবে।বিশেষ কারও চোখের দিকে তাকিয়ে কিংবা কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করে ভালো আইন তৈরি করা যায় না। তাই যে-যাই বলুক, আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সবসময় দেশের জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে এবং জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে হবে। তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য উভয়ই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো  বলেন, লেজিসলেটিভ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি লেজিসলেটিভ ক্যাডার সার্ভিস গঠনের বিষয়েও কাজ করতে হবে।“লজ অব বাংলাদেশ’ লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের খুবই জনবান্ধব একটি কাজ। এর মাধ্যমে জনগণ মুহূর্তেই বাংলাদেশে প্রচলিত সকল আইন দেখে নিতে পারেন। 

কর্মশালা সভাপতি  জেলা প্রশাসক মীর তিনি বলেন, অনেক আইন আছে, সেগুলো কার্যকর নেই কিংবা প্রয়োজন পড়েনি। তাই আইন সম্পর্কে সবার সচেতনতা প্রয়োজন সবার আগে। তিনি বলেন, বিচারে কেন দীর্ঘসূত্রিতা হচ্ছে, এর জন্য বিশেষ গবেষণা ও প্রকল্প নেয়া উচিত। একইসাথে আই প্রণয়নের আগে অবশ্যই গবেষণা হওয়া উচিত  নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারগুলোতে নিশ্চিতে সকলকে সচেতন হতে হবে, একযোগে কাজ করতে হবে। আইন সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে এবং তা বাস্তবায়নে একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। তবেই একটি সুন্দর বাংলাদেশ গঠন সম্ভব। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ 

এম আলী আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল হান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. কেএম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব  আব্দুস সামাদ তালুকদার, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম ও জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি কায়সার আহমেদ (লিটন)।  এছাড়ও আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক)  গনপতিরায়,   সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনোয়ার হোসেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এস এম রকিবুল হাসান,  সহ জেলার সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্পের সাংবিধানিক ও আইনি অধিকার সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ন-সচিব) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024