দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় কোন সংঘাতবিহীন শেষ হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত নবগঠিত ঈদগাঁও,চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। সারাদিন সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে ভোট প্রদান করেছে ভোটাররা।

প্রতিটি উপজেলায় শুরুর দিকে ভোটারদের উপস্থিতি একটু কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের সরব উপস্থিতি বাড়ে।

ঈদগাঁওয়ে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ এনে এক প্রার্থী কিছুক্ষণ প্রধান সড়ক অবরোধ করেন। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় অবরোধ তুলে নেন তারা। এসময় প্রধান সড়কে কিছুক্ষণ গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিলো বলে জানান ভোটাররা।

এছাড়াও ঈদগাঁওয়ে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী একে অপরের উপর হামলার অভিযোগ করেন। তবে এ রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত সময়ে বড় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়াও চকরিয়ায় কিছু কিছু জায়গায় দোয়াত কলমের কর্মী সমর্থকেরা সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকেরা। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত পেকুয়ায় কোন ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এ তিন উপজেলার মধ্যে রয়েছে ১ টি পৌরসভা ও ৩০ টি ইউনিয়ন। যেখানে মোট ভোট কেন্দ্র হলো ১৯৪ টি এবং মোট ভোটার ৫ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৬৩ জন।

আর এ তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪০ জন প্রার্থী।

ঈদগাঁও উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬০ জন।

চকরিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। চকরিয়া উপজেলায় ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটার রয়েছে।

পেকুয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ এ তিন উপজেলায় ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

এবার কক্সবাজারের এ তিন উপজেলায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024